পাতা:বিভূতি রচনাবলী (তৃতীয় খণ্ড).djvu/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত Iළු তারপর কি করা যাইবে ? স্কুলে এক নতুন মাস্টার কিছুদিন পবে কোন এক মাসিক পত্রিকায় গল্প লিখিয়া দশটা টাকা পাইয়াছিলেন । গল্পটা সেই ভদ্রলোকের কাছে অপ অনেকবার শনিয়াছে। আচ্ছা, সেও এখানে বসিয়া খাতায় একটা উপন্যাস লিখিতে শর করিয়াছিল—মনে মনে ভাবিল-দশ-বারো চ্যাপ্টার তো লেখা আছে, উপন্যাসখানা যদি লিখে শেষ করতে পারি, তার বদলে কেউ টাকা দেবে না ? কেমন হচ্ছে কে জানে ; একবার রামবাবকে দেখাব ৷ নোটিশ-মত অপর কাজ ছাড়িবার আর বিলম্ব নাই, একদিন পোস্টাফিসের ডাক-ব্যাগ খলিয়া খাম ও পোস্টকাড’গলি নাড়িতে-চাড়িতে একখানা বড়, চোকা সবুজ রংএর মোটা খামের ওপর নিজের নাম দেখিয়া বিস্মিত হইল – কে তাহাকে এত বড় শৌখিন খামে চিঠি দিল । প্রণব নয়, অন্য কেহ নয়, হাতের লেখাটা সম্পণে অপরিচিত । খলিয়া দেখিলেই তো তাহার সকল রহস্য এখনই চলিয়া যাইবে, এখন থাক, বাসায় গিয়া পড়িবে এখন। এই অজানার আনন্দৰ্টুকু যতক্ষণ ভোগ করা যায় ! রান্না-খাওয়ার কাজ শেষ হইতে মাটি’ন কোম্পানীর রাত দশটার গাড়ি আসিয়া পড়িল, বাজারের লোকানে দোকানে ঝাঁপ পড়িল । অপর পত্ৰখানা খলিয়া দেখিল—দখানা চিঠি, একখানা ছোট চার-পাঁচ লাইনের, আর একখানা মোটা সাদা কাগজে-পরক্ষণেই আনন্দে, বিসময়ে, উত্তেজনায় তার বকের রক্ত যেন চলকাইয়া উঠিয়া গেল মাথায়—সম্ববনাশ, কার চিঠি এ ! চোখকে যেন বিশ্বাস করা যায় না – লীলা তাহাকে লিখিতেছে! সঙ্গের চিঠিখানা তার ছোট ভাইয়ের—সে লিখিতেছে, দিদির এ পত্ৰখানা তাহার পত্রের মধ্যে আসিয়াছে, অপকে পাঠাইবার অনুরোধ ছিল দিদির, পাঠানো হইল। অনেক কথা, ন’ পষ্ঠো ছোট ছোট অক্ষরের চিঠি ! থানিকটা পড়িয়া সে খোলা হাওয়ায় আসিয়া বসিল । কি অবণনীয় মনোভাব,বোঝানো যায় না, বলা যায় না। আরম্ভটা এইরকম— ভাই অপদেব", অনেকদিন তোমার কোন খবর পাই নি-- তুমি কোথায় আছ, আজকাল কি কর, জানবার ইচ্ছে হয়েছে অনেকবার কিন্তু কে বলবে, কার কাছেই বা খবর পাব ? সেবার কলকাতায় গিয়ে বিনকে একদিন তোমার পরানো ঠিকানায় তোমার সন্ধানে পাঠিয়েছিলাম—সে বাড়িতে অন্য লোক আজকাল থাকে, তোমার সন্ধান দিতে পারে নি, কি করেই বা পারবে ? একথা বিন বলে নি তোমায় ? আমি বড় অশাস্তিতে আছি এখানে, কখনও ভাবি নি এমন আমার হবে। কখনও যদি দেখা হয় তখন সব বলব। এই সব অশাস্তির মধ্যে যখন আবার মনে হয় তুমি হয়ত মলিনমখে কোথায় পথে পথে ঘরে বেড়াচ্ছ-তখন মনের যন্ত্রণা আরও বেড়ে যায়। এই অবস্থায় হঠাৎ একদিন বিনর পরে জানলাম বিজয়া দশমীর দিন তুমি ভবানীপুরের বাড়িতে গিয়েছিলে, তোমার ঠিকানাও পেলাম । বন্ধমানের কথা মনে হয় ? অত আদরের বন্ধমানের বাড়িতে আজকাল আর যাবার জো নেই। জ্যাঠামশায় মারা যাওয়ার পর থেকেই রমেন-দা বড় বাড়াবাড়ি ক'রে তুলেছিল। আজকাল সে যা করছে, তা তুমি হয়ত কখনও শোনও নি। মানুষের ধাপ থেকে সে যে কত নীচে নেমে গিয়েছে, আর যা কাঁত্তিকারখানা, তা লিখতে গেলে পুথি হয়ে পড়ে । কোন মাড়োয়ারীর কাছে নিজের অংশ বন্ধক রেখে টাকা ধার করেছিল এখন তার পরামশে পাটিশান স্যাট আরম্ভ করেছে—বিনকে ফাঁকি দেবার উদ্দেশ্যে । এ-সব তোমার भाथाम्न आनळद ८कान७ पिन ?