পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूहे वाख्नेौ ጔፃ. করবে—আমার ওতে ভারি উৎসাহ । সময়টা তো বেশ কাটবে? তাই জামি—তুমি থাক – আমার বেশ ভালো লাগে—হৈম নিধুর দিকে অপাঙ্গ দৃষ্টিতে চাহিয়া হাসিয়া ফেলিল। বলিল —সত্যি কিন্তু আসবে সামনের শনিবারে নিধুদা, আমার মাথার দিব্যি—সেদিন কিন্তু আমাদের বাড়ীতে চা খাবে- yo -51वांशि १iहे ८न ४श्ध—চা না খাও, খাবার খেও । আর আমরা গল্প করব, ঠিক রইল কিন্তু— • —থিয়েটার তাহলে তুমি করবে। কিন্তু জগোঠাকরুণ কি বলেচে আজ মা'র কাছে শুনেচ তো ? —বলুক গে। আমি ওসব মানি নে। আমার শ্বশুরবাড়ী ভেমন নয়—কেউ কিছু বলবে না। —সে তুমি বোঝ, আমার কানে কথাটা উঠেচে যখন তোমাদের কাছে বলা জামার উচিত। মঞ্জুদের কেউ কোনো দোষ ধরবে না, কেন না ওর হল বড়লোক—ওরা এখানে থাকবেও না । ওদের কে কি করবে ? —আমারও কেউ কিছু করতে পারবে না। জীবনে দুটি ; মোধ করব না, আহলাদ করব ন—মুখ বুজিয়ে বসে থাকব এই অজ পাড়াগায়ের মধ্যে, সে আমার দ্বারা হবে না । —আচ্ছ, তুমি এস হৈম— —কোথায় যাবে এখন ? মজুদের বাড়ী ? —ন বেলা হয়েচে—এখন বাড়ী যাব । —ওবেলা বাবে ওখানে—তাহলে আমিও আসি । নিধু মনে-মনে বিরক্ত হইলেও বলিল—তার এখন কিছু ঠিক নেই—আসতেও পারি। এখন বলতে পারি নে— বৈকালের দিকে নিধু ভাবিল সে মজুদের বাড়ী যাইবে কিনা। মন সেখানে যাইবার জগুই উন্মুখ হইয়া আছে যেন। অথচ বেশ বোঝা যাইতেছে সেখানে আর তাহার যাওয়া উচিত নয়। বেলা পড়িয়া জাগিল—তবুও নিধু ইতস্তত করিতে লাগিল—এবং ভারপরই সে হঠাৎ কিসের টানে সব কিছু দ্বিধা তুলিয়া কখন উহাদের বাড়ীর দিকে রওনা হইল। মজুদের বৈঠকখানার কাছে গিয়া মনে হইল—আজ মঞ্জু তাহাকে ভাকিয়া পাঠায় নাই তো! অথচ রোজই ভাকিয়া পাঠায়। মনের মধ্যে কোথা হইতে অভিমান আসিয়া জুটিল। নিধু আর মজুদের বাড়ী না চুকিয়া গ্রামের বাহির রাস্তার দিকে বেড়াইভে গেল। পূজার আর বেশি দেরি নাই। আকাশে বাতাসে যেন আসন্ন শারীরা পূজার আতাস, আকাশ মেঘমুক্ত, স্বনীল—পাকা রাস্তার ধারে ঝোপে-ঝোপে মটরলতায় খোকা-খোকা ফল ধরিয়াছে—আউশ ধান কাটা হইয়া গিয়াছে—আমন ধানের নারাল খেত ভিন্ন মাঠ প্রায় শূন্ত। পনেরোদিন বৃষ্টি হয় নাই—গুম গরম, কোনোদিকে একটু হাওয়া নাই। একটা সঁকোর উপর বলিয়া নিৰু ভাবিতে লাগিল—মঞ্জু আজ তাছাকে কেন ভাকিল না ? ۹- ۰ و . . f