পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ বিভূতি-রচনাবলী কিন্তু তার পিতামহ yরামেশ্বর চক্রবর্তী বিদ্যাভূষণ খুব ভালো জ্যোতিৰী ছিলেন। কস্তার চৌদ্দ বৎসর বয়েসে বৈধব্যৰোগ থাকায় স্নেহময় বৃদ্ধ ওই বয়েসটি পার করেই পোঁজীর বিবাহ দেওয়া ধাৰ্য্য করেন । যখন প্রথম খণ্ডরবাড়ী আসেন তিনি, ঘনরাম রায়চৌধুরীর পিতা দয়ারাম রায়চৌধুরী জীবিত। নামে দয়ারাম হোলে কি হবে, ইনি ছিলেন নিষ্ঠুর প্রজাপীড়ক, কঠোর শাসক ও মামলাবাজ। আবার খুব উচ্চারও ৰে ছিলেন, তার পরিচয় এই রাজীবপুরের অনেকে আজও মনে রেখেচেন । বাড়ীতে কুড়ি-বাইশটা ধানের গোলাতে ধান বোঝাই, অথচ প্রজার কর্জনেওয়া সামান্ত ধানের জন্তে তাকে চণ্ডীমণ্ডপের সামনে ( গ্রামের লোকে বলতে "কাছারীবাষ্ট্ৰী' ), এনে খুঁটিতে বেঁধে রেখে দিতেন, মারধোর করতেন, মোকদ্দমা মামলা ক'রে তাকে ভিটেচু্যত করতে চাইতেন । তরক্ষিণী এলে দেখলেন তিনি মন্ত-বড় প্রতাপশালী শ্বশুরের আদরিণী পুত্রবধু। শাশুড়িটি লোক ভাল নন, প্রতি কাজে সৰ্ব্বদা খিটু খিটু করা, সবসময় কাজের খুত-কাটা, এই ছিল র্তার স্বভাব। তরঙ্গিণী খুব শাস্ত মেজাজের বধু ছিলেন, শাশুড়ির সমস্ত তিরস্কার বিনাপ্রতিবাদে শুনে নীরবে অশ্রুবিসর্জন করতেন—একথা বলতে পারলেই বেশ শোনাতো বা মানাতো বটে, কিন্তু সত্যের খাতিরে বলতে হোলো ধে, তরঙ্গিণী আদে তা ছিলেন না। তিনিও ঝঙ্কার দিয়ে উঠতেন, সমানে-সমানে তর্ক-ঝগড়া করতেন । সেকালে এতে লোকে ভালো বলতো না । স্নেহময় খণ্ডর পুত্রবধুকে কাছে ভেকে বলতেন—শোনো বউম, ইদিকি এসো। শলা थांव ? -oil | —কি খাবা ? —কিছু থাবো না । —বোলো এখানে । —কি বলুন ? o —তোমার শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া করচো কেন সকালবেলা ? \. —উনি আমায় বল্লেন, আমি বাটনা বাটতে জানিনে । —বলচেন-বলচেন। উনি তোমার গুরুজন । ভোমার কি ভর্ক করা উচিত ? —না, উচিত না । আমি ছাড়বো কেন ? —তুমি নিতান্ত ছেলেমাহুৰ। কথাবার্তা বলতি নেই গুরুজনের সঙ্গে, ওতে লোকে নিন্দে করে । তারপর আরম্ভ হোতো সন্থপদেশ-মহাভারতের দু'একটি সতীলক্ষ্মী স্ত্রীলোকের কাহিনী । ওঁর ছেলেবেলায়, একজন বড় ভালো গৃহিণী এ-গ্রামে বাস করতেন, তারও পুণ্য-কথা। সবই कूष-कष । कब्राब्रांत्र बाब्रटर्छौषूबौ बरे-छेहे नफरछ खांणवांनाच्न न। बाक्लौटछ नीजि शक