পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/১৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেসাতি ভীষণ বর্ষার দিন । নিরুপমার জর আজ ক'দিন ছাড়ে না। শিউলিপাতার রস খাওয়ালাম, দোকান থেকে পাচন এনে খাওয়ালাম, অস্থখ কিছুভিই সারে না। স্কুলের ছুটি হওয়ার সময় রোজ ভাবি আজ বাড়ী গিয়ে দেখবে নিরুপমার জর ছেড়ে গিয়েচে । রাস্তা থেকে চেয়ে দেখি জানল। দিয়ে কি,দেখা যাচ্চে-নিরুপমা বিছানায় উঠে বসেচে, না গুয়ে আছে । রোজই নিরাশ হই । নিরুপমা শুয়ে আছে । ছটফট করচে, এপাশ ওপাশ করচে । মন্ত লেপমূড়ি দিয়েচে দেখলেই বুঝতে পারি ওর খুবইজর এসেচে। সামান্ত মাইনের মাস্টারি করি, এগারোটি টাকা মাইনে। স্বামী-স্ত্রী দুজনে থাকি বাড়ীতে । কায়ক্লেশে চলে। পৈতৃক আমলের ধানের জমিতে যদি দুটো ধান না হোত, ভা" হলে সংসার একেবারেই চলতো না। নিরুপমা গোছালো গৃহিণী, যা আনি বেশ চালিয়ে দেয়। মাছ মাংস মূদ্ধের বাজারে আমাদের ঘরে আসা মুশকিল। হাট থেকে টাদা মাছ, চুনো পুটি কিনে আম্বি। আমাদের স্কুলের বুডো পণ্ডিত কেশব ভট্টাচাfধ্য মাছ ভিক্ষে করে মেছেহাটায় । দোষ দিইনে ওকে, মাইনে পায় সাড়ে তিন টাকা। ই্যা, সাড়ে তিন फेंक ! বিশ্বাস করা মুশকিল হয় জানি। কিন্তু এই সাড়ে তিন টাকার জন্তে বুড়ো কেশব তটাচাfধ্য দু’মাইল দূরবত্তী তালকোণ-নকিবপুর গ্রাম থেকে দশটায় আসে, চারটেয় ফেরে। কেশব পণ্ডিত মেছোহাটায় গিয়ে বলে—ণ্ডগো ও অঙ্কুর, তোমার নাতির দিকে একটু লক্ষ্য রাখবা । বেশ নামতা পড়তে—আজ দু'দিন আবার একটু ঢ়িল দিয়েচে । বলি ও কি স্বাছ ? ট্যাংরা ? দাও দিকি দুটো বাপু ! তোমার নাতির কলোণে একদিন মাছ থেয়ে নিই। ভারি বুদ্ধিমান নাতি তোমার, হীরের টুকরে+স্থাও ওই চিংড়ি মাছটাও ভাও ওই সঙ্গে । পয়সা দিয়ে তো কিনবার ক্ষ্যামতা নেই। আমি একদিন বলেছিলাম—পণ্ডিতমশাই, মাছ আমি কি দুটো চাইলে পাই নে ? পাই । কিন্তু আমার পিরবিত্তি হয় না—আপনি রোজ রোজ কেন চান ? —না চেয়ে ভায়া করি কি। বাড়ীতে তিনটে নাতি, দুটো নাতনী। মেয়েটা অল্প বয়সে বিধবা হোল, কেউ নেই সংসারে । আমি সব নিয়ে আগলে আছি। ওই সাড়ে তিন টাকাই আমার কাছে সাড়ে তিন মোহর— -चां★नांत जांभाहे कण्ठश्नि भांब्र! शि८ग्नts ? —তা আজ হোল সাড়ে তিন বছর । –সংসারে কে আছে ? —আমার মেয়ে হুটু আর তার কাচ্চা বাচ্চা। ওদের কেউ দেখবার থাকলে আমি কি আর ওদের নিয়ে বসে থাকি ? আমারও বাড়ী কেউ নেই। বলি আগলে না রাখলি কাচ্চা বাচ্চ নিয়ে মেয়েড কি ভেসে বাবে ? 'তাই পড়ে আছি। —আর কোনো জায় নেই ?