পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSN9 বিভূতি-রচনাবলী শুৱাই যখন বেলা দুটোর সময় আমার কাছে এসে জানালে এবার মোটর দিতে হবে, তখন হঠাৎ আমার মনে পড়লে ড্রাইভার ছুটি চাওয়াতে তাকে ভুলে ছুটি দিয়ে ফেলেছি। স্বতরাং নিজেই মোটর চালিয়ে নিয়ে গেলাম জেলের ফটকে। বেলা দুটো বেজে দশ মিনিটের সময় এলিশাবা কুই জেলারের সঙ্গে গেটে দাড়ালেন। খুব বেশি ভিড় না হলেও খুব কম লোক ষে এসেছিল তাও নয়। গণ্যমাঙ্ক লোক অনেকে উপস্থিত ছিলেন, ছ’তিনটি এম-এল-এ, বিখ্যাত কংগ্রেস-নেতা হরজীবন পাঠক, ধনী ব্যবসায়ী নেমিটা, বাঙালী বড় উকীল প্রভাত রায়, তার জামাই ভাক্তার নীহার মিত্র ইত্যাদি । জনতা এগিয়ে গেল, এলিশাবা কুই-এর গলায় মালা দিয়ে তাকে আমার মোটরে নিয়ে এসে ওঠালে। একটু পরেই আমি মোটর ছেড়ে দিলাম । আমার বাড়ী হিন্থ ময়দানের কাছে, জগন্নাথপুরের রাস্তার খানিক এদিকে। জেল থেকে অনেকখানি চলে এলাম মোটর হাকিয়ে, সঙ্গে কেবল হরজীবন পাঠক ও দুটি ছোকরা কংগ্রেগ-কৰ্ম্ম । .# ওরা বলে--কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন ? বল্লাম—গরীবের বাড়ীতে মাননীয় নেত্রীর জন্তে ও আপনাদের জন্তে সামান্ত একটু চায়ের ৰোগাড় করেছি— একটি ছোকরা বল্লে—উনি তো চা খান না। ८छ्रज बझांभ-छठण १i८दन नाँ एग्न झञ्चां क'८द्र । পেছনের সিটে দেশনেত্রীর মৃদ্ধ হালির শব্দ শুনতে পেলাম । ধারা দেশনেত্রী এলিশাবা কুই-এর কথা শোনেন নি বা ভালো জানেন না তাদের অবগতির জন্তে দু-একটা কথা ওঁর সম্বন্ধে বলি । এলিশাবা রাচি ও সিংস্কুমের বস্ত আদিবাসীদের নেত্রী। বাংলাদেশ বা অন্তস্থানে এর নাম তত কেউ হয়তো শোনেন নি, কারণ বিহারের অনেক বিষয়েই বাংলার পাঠক উদাসীন। কিন্তু রাচি সিংহূম জেলার অধিবাসীদের কাছে এলিশাবী কুই-এর নাম ইশ্রজালের কাজ ऱेट्च । গত ১৯৪২-এর অগাস্ট আন্দোলনের সময় লোহারডগা থেকে যশপুর স্টেটের সীমান্ত পৰ্য্যস্ত পালামেী জেলার সমগ্র বন্ত অঞ্চলে ছ'মাস কাল একটি স্বাধীন রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বৃটিশ গবর্নমেন্টের হাত সেখানে অচল ও পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়েছিল—প্রত্যেকটি খান, বাংলো, প্রত্যেকটি ফরেস্ট রেস্টহাউস এই স্বাধীন গবর্নমেন্টের কাছারী, খানা ও কর্মচারীদের ৰাকৰার স্থানে পরিণত হয়েছিল। এই স্বাধীন গবর্নমেন্টের নেত্রী ছিলেন এলিশাৰ কুই। লোহারডগ হতে বুনজিগড় হয়ে রে বাস কার্গগুড়া ও সম্বলপুর যায়, তিনমাসকাল তাদের লাইসেন্স-পত্রে সই নিতে হয়েছিল এই স্বাধীন গবর্নমেন্টের কর্মচারীদের কাছেই। এই ভিন - মাল একটি চুরি হয় নি এ অঞ্চলে, একটি পয়লা খুব নেয় নি কেউ।