পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুখোশ ও মুখঞ্জী ఇes কিন্তু এ কোন চম্পু ! এ ইংরেজি বলে, মোটর চড়ে, সভায় হিন্দিতে বকৃত দেয়। সেই সরলা বালাকে এর মধ্যে কোন দিন খুজে পাওয়া যাবে না। ভৰুও উদগ্রীব হয়ে রইলাম সন্থার জন্তে। এলিশাবা কুই এলেন সন্ধ্যার একটু পরে। কেউ ছিল না ঘরে। बझोत्र-ब८न श्रृंख्न ? হেসে বঙ্গে—সব ৷ —চম্পূ তোমার কাহিনী কেউ বিশ্বাস করবে না। আমি জানি তাই, না জানলে অবিশ্বাস করতাম। কি করে এমন হ’লে ? বলিবা ছাড়লে কেন ? লেখাপড়া শিখলে কোথায় ? —দশ মিনিটের জন্তে এসেছি । অন্ত সময় শুনবে । মিশনারী স্কুলে ম্যাট্রিক পাশ করি । আমাদের গ্রামের হো পাস্ত্রী আমাকে রণচী নিয়ে যায়। মাক মারা গেল, কেউ ছিল মা গায়ে, কে আশ্রয় দেয় ? রাচীতে বল্পে, খৃষ্টান হ’লে সব স্ববিধে ক’রে দেবে। সত্যি বলচি, এখন এসব ফেলে চলে যেতে ইচ্ছে করে বলিবা গায়ে। অগাস্ট আন্দোলনের পরে জেলে বসে বসে শুধু বলিবার কথাই ভাবতাম । * —আর কোনো কথা মনে পড়তো না ? চম্পু কৃত্রিম রাগের স্বরে বল্পে—না । কি কথা মনে পড়বে ? মান রেখে কথা বলতে শেখে । জানো আমি কে ? আমি পাণ্টা রাগের স্বরে বল্লাম—বেশ । দাও অামার বোতাম ফেরৎ— চম্পূ খিলখিল ক’রে হেসে বল্লে—কাল আসবে। মোটর দাড়িয়ে আছে। একটা ছুeে ক’রে এসেছি । তারপর একটু থেমে বলে—বোতাম নিয়ে আসবে। হারাই নি। খোলস আমার ছেলেবেলায় মহকুমার শহরে যখন স্কুলে পড়তাম তখন নীলমণি মল্পিক মশায়কে দেখতাম দামী শাল গায়ে দিয়ে বেড়াতেন, শহরের একজন নাম-করা উকিল । আমরা তখন তাকে ভয় ক’রে চলতাম, আমাদের স্থলে মাঝে মাঝে এসে তিনি আমাদের পরীক্ষাও नि८छन । নীলমণি মল্পিক সে সময়ে শহরের একজন বিশিষ্ট, সম্রাপ্ত ব্যক্তি। সকলে তাকে সম্মান করে, ভয় করে। নীলমণি বাবুর কাজকৰ্ম্ম ঘড়ির কাটার মত চলে। সকালে উঠে তিনি প্রাতভ্ৰমণে বার হবেন, ফিরবার পথে মুন্সেফ বাৰু, ও মহকুমা হাকিমের বাড়ী ঘুরে কুশল জিজ্ঞাসা করে আসবেন । হয়তো বলে ওঁদের ওখানে এক পেয়ালা চা খেয়েও আসতে aد ــ هد هة .R