পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rya বিভূতি-রচনাবলী পারেন। এর নাম হাকিমকে তুষ্ট রাখা। এতে ক’রে শহরে অনেক স্ববিধে আছে, বিশেষ ক'রে মহকুমার মত জায়গায়, যেখানে এই হাকিমেরাই সব। সেৰাৱে দীনবন্ধু সেন ডেপুটি বাবুর মেয়ের বিয়েত্বে নীলমণি বাৰু স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে সেই ৰিয়ের রাতে বরযাত্রী অভ্যর্থনা থেকে আরম্ভ ক’রে রান্নার চালায় গিয়ে মাছ-ভাজার ভারক করা পৰ্য্যন্ত—সমস্ত কাজ নিজে যেমন উৎসাহ নিয়ে করেছিলেন, মেয়ের বাপ দ্বীনবন্ধু সেন ডেপুটিও তেমন করতে পারেন নি। পরের দিন বার লাইব্রেরীতে এজন্তে তার সতীর্থ উকিল রামজয় বাড়ুৰ্যে নাকি বলেন, কি হে, কাল কৰ্ম্মকর্তা তুমি না দীনবন্ধু বাবু বোঝাই যাচ্ছিল না— নীলমণি বাৰু জানতেন তার এই হাকিম-তোষণের নীতি অনেকে এখানে ভালো চোখে দেখে না, আগে দেখতো এবং সেজন্ত নীলমণি বাবুকে সাধারণে খাতিরও করতো কিন্তু এখন পড়েছে স্বদেশীর যুগ, স্বরেন বাড়ুধ্যে দেশটাকে উচ্ছন্ন দিয়ে দিলে আর কি—এখন হাকিমের বাড়ী বেশী ৰাতায়াত নাকি তত সন্মানজনক নয়। ' নীলমণি বাবু রাগের স্বরে বল্পেন—মানে ? —মানে কাজের বড় আটা দেখাচ্ছিলে কিনা তাই বলচি— —তাতে তোমার কি ? —ন, আমার কিছু না । সকলেই বলছিল তাই— আমি একথা শুনেছিলাম রামজয় বাবুর ছেলে নীরদের মুখে, লে আমার সহপাঠী ছিল। লোকে যে ষা বলুক, নীলমণি বাৰু গ্রাহ করেন না । তিনি আজ পনেরো বছর ধরে এই হাকিম-তোষণের ফলে সরকারী হাসপাতালের কমিটির সদস্য, পল্পী-উন্নয়ন সমিতির সহকারী সভাপতি, লোকাল বোর্ডের সহকারী সভাপতি, চৌকিদারী কমিটির সদস্ত প্রভৃতি বহু সন্মানজনক পদে গবর্নমেন্ট থেকে নির্বাচিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত আছেন। দানশীল বলেও তার একটা খ্যাতি আছে, তবে ব্যাপারগুলো গবর্নমেন্ট-দ্বেধা হলেই তিনি টাদা দিয়ে থাকেন। গবর্নমেন্ট দাতব্য হাসপাতালে একটা উইং বাড়ানোর জন্তে গবর্নমেন্টের হাতে তিনি সাড়ে চার হাজার টাক সেদিন দিয়েচেন । এই রকম আরো অনেক আছে । তিনি গবর্নমেন্ট প্লীডারও বটে আজ জাট ন’বছর ধরে। গবর্নমেন্ট প্লীডার একটা কতবড় সম্মানজনক পদ, যদিও এই ছোট মহকুমার শহরে গবর্নমেন্ট প্লীভারের বিশেষ কাজ যে কিছু আছে তা নয়, তবে ওই যে বজাম একটা মন্ত সন্মান। সকলে তো গবর্নমেন্ট প্লীডার হতে পারে না। নীলমণি বাবুর ছাপানো চিঠির কাগজে লেখা আছে "এন. মল্লিক, বি. এল.—গবর্নমেন্ট প্লীডার।” সন্মানও তিনি পেয়ে BuDD DD S DDBB BBDD BB BBB BBSBBS BB BBBB DDD DDDD ছড়ি হাতে ক’রে যখন তিনি রাস্তায় বেড়াতে ৰেবোন, তখন সকলেই সন্ত্রমের স্বরে তার সঙ্গে কথা বলে। লোককে জব্দ করতেও তিনি অদ্বিতীয়, টুক্‌ ক’রে কোথায় কি লাগালেন, ভার পর দিন থেকে তার পেছনে পুলিশ লেগে গেল। একটা উদাহরণ দিলে এখানে বোঝা বাবে ব্যাপারটা।