পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९९ বিভূতি-রচনাবলী -कि ? —ও নাকি আমাকে দেখে নেবে। আমি নাকি নিধু বিধুকে ফাকি দিয়ে বিষয়আশয়ের বিলিব্যবস্থা করছি। ওইটুকু মেয়ের এত বড় আশাৰ্দ্ধা ! —ভাই তো । –এর একটা বিহিত করতে হৰে সনৎ। আশার কি জোর খাটে এ-সংসারে7 --ত বলে স্থাখো । —তুইও বলবি । আমার সঙ্গেই বলবি। --বেশ ৷ কালই সকালে বলা বাবে । ওকে তাড়িয়ে তবে অার কাজ। বডড বড়ি বেড়েচে ওর । আমাকে একেবারে অবাক ক’রে দিয়েচে আজ । —আমি বলবো এখন বুঝিয়ে— g —বুঝিয়ে-টুঝিয়ে বলার কিছু নেই। ওকে বিদেয় ক’রে দেবে কালই। —বেশ। * g সনৎ তখন দিব্যি রাজী হয়ে গেল, কিন্তু সকালে এসে বললে—দাদা, ওই ষে কাল বলছিলে আশাকে বলবার কথা না ? —ই, তা কি ? —আমি ও সব পারবে না। তুমি ঘা হয় কোরো— —সে হবে না । তোকেও বলতে হবে— —আমি ভেবে দেখলাম, ও সব কথার মধ্যে আমার না থাকাই ভালো। —তুই আমাকে ভয় করিস, না মাকে ভয় করিস ? —কাউকে ভয় করি নে। মা আমাদের দুজনকেই ভয় ক’রে চলে দাদা, সে ভূমি জানো। মা সাতেও নেই, পাচেও নেই—নিরীহ প্রাণী । তাকে আবার ভয় করবার কি আছে ? —তবে তুই কেন বলবি নে আশাকে ? —না দাদা। আশা আমাদের কোলপোছা বোনটা। ওর মা নেই, বাপ নেই, স্বামীপুত্তর নেই। আমি ওকে ও সব কথা বলতে পারবো না । শরৎ মুশকিলে পড়ে গেল। দুই ভাই একযোগে কাজ করলে যে জোর পৌঁছতে, সে তো পোঁছলোও না, তার ওপর সে দেখলে আশার ব্যাপার নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে গেলে সনতের সঙ্গে মনোমালিন্ত হওয়া বোধ হয় বিচিত্র নয়। সনৎ এত দরদ দেখাবে আশার ওপর তা কে জানে। একেবারে গদগদ গোদাবরী ! বলিহারি । • কিন্তু শরতের এ ধারণা ভুলও বটে, আবার নয়ও বটে। সেদিনই সনৎ আশাকে সিড়ির নিচের ঘরে নির্জনে ডেকে বললে—তুই কি বলেছিল জাদাকে ?