পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৬ বিভূতি-রচনাবলী —তুই তখন বারের পূজো দিতে গিইfচল পঞ্চানঙ্গ তলায়। শনিবারের দুপুরে । তা ছাড়া শরৎ মদ খেয়ে এসেছিল। বিধু ভয়ে কেজেই বঁাচে না। জানো তো ধমের মত ভয় করে ওরা শরৎকে । 拿 SB BB BBBS BBB BB BB BBB BDD DD DBB DDS DBB BBD বাগান বিক্রি করেচে। তার তিন ভাগের এক ভাগ একশো টাকা তুমি পাবে—সেই জায়গায় তিরিশটুি টাকা ঠেকিয়েচে মোটে—উঃ কি অস্তায় কাজ বড়দার । বোকা বুঝিয়ে দিয়েচে তিরিশ টাকা দিয়ে । তুমি জিজ্ঞেস করলে না কেন এ টাকা কিসের ? আচ্ছ মা, এত ৰোকা হলে মান্থব সংসার করতে পারে ? বিধু নিধু যখন পথে বসবে তখন মজা টের পাবে কে শুনি ? তুমি না আমি ? আশা গিয়ে তুমুল ঝগড়া বাধালে শরতের সঙ্গে। ফাকি দিয়ে গাছগুলো এভাবে জলাঞ্জলি দেওয়া ? মায়ের টাকার ভাগই বা দেওয়া হয়েচে কই ? শরৎ তাচ্ছিল্যের স্বরে বল্পে—যা—যা, ধা পারিস তুই করগে— আশা রাঙামূখে বলে—বড়ম, তুমি এখনো চেনো নি আমায়। বিধু নিধুকে আর ওই বোকা-লোক মাকে ফাকি দিতে পারে, কিন্তু আমায় পারবে না। এই চাম বাগানে, দেখি কার সাধ্যি বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যায়—জায় তো বিধু আমার সঙ্গে—এখনো এত चब्रांजक एम्न नि cनएल बज्जप्त আশা গিয়ে বাগানে স্বারা গাছ কাটছিল, বিধুকে দিয়ে তাদের বারণ ক'রে পাঠালে। গাছ বিক্রি করা হয় নি বিধুদের অংশের, বাগানের গাছে কেউ যেন হাত না দেয়। আশার চেহারার মধ্যে এমন কি একটা জিনিস ছিল, সকলে সমীহ ক’রে চলতো । তারা টাকা দিয়ে দলিল লেখাপড়া ক’রে নিয়েছিলো আগেই—তবুও আশার কথায় গাছ কাটা বন্ধ করলে । শেষ পৰ্য্যন্ত শরতের কাছ থেকে টাকা ফেরৎ নিয়ে চলে খেতে বাধ্য হ’ল তারা। এই সব ব্যাপারে শরৎ ক্রমে আশার মহাশক্র হয়ে উঠলো। ওর ওপরে নানা নির্ধ্যাভন শুরু হ’ল—এমন কি বড় ভাই হয়ে বোনের নামে হীন কুৎসা রটাতেও দ্বিধা করলে না। আশা শরতের কাছে গিয়ে বয়ে—বড়দা, তুমি আমার নামে গাজুলী কাকার কাছে এগৰ কি বলে এসেছে ? শরৎ মন দিয়ে হাসের পেনের ভগা কাটছিল। শরতের স্ত্রী সামনে দাড়িয়ে চায়ের পেয়ালা হাতে। শরৎ ওর দিকে চেয়ে ভুক্ল কুঁচকে বলে—কেন এখানে এসেচিল ? বলবো না ? তুমি বড় সতী—তা আমার জানতে বাকি নেই— —কেন কি করেছি আমি ? শরতের উত্তর ছাপাবার অধোগ্য। আশা মূখ ফিরিয়ে শরতের স্ত্রীর দিকে চেয়ে বলে—শুনলে তো বৌদিদি ? বড়াজার কথা ?