পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলগঞ্জের ফালমন সাহেব २89 অমনি চটুপটু করিয়া চতুদিকে হাততালি পড়িবে। নিজে সকলের আগে হাততালি ८ि५न । o কোন করুণ ভক্তিরসের ব্যাপার ঘটিলে সাহেব সকলের সঙ্গে 'হরিবোল’ দিয়া উঠিবেন। বারোয়ারীতে টাঙ্গা দিতে সাহেব যেমন মুক্ত হস্ত, তেমনি রক্ষাকালীপূজা বা শীতলীপূজার অনুষ্ঠানে। তখনকার দিনে বারোয়ারি দূর্গাপূজা বা খামাপূজার রেওয়াজ ছিল না। মিসেস্ ফালমন মারা যাওয়ার পর নীলগঞ্জের কুঠার রাঙা ‘প্যাটেন’ ফুলের श्रांझ, नशेद्र ধারের অত বড় বাড়ী, লেবু ও আমের বাগান, পদার প্রতিপত্তি, অর্থসম্পত্তি সব কিছু শ্ৰীহীন হইয়া পড়িল । বাড়ীর এক নিমজাতীয় দাসীর সঙ্গে সাহেবের নাম জড়িত হইয়া চারিদিকে প্রচার হইতে লাগিল। মার্জোরি ও ডোরা বিবাহু করিয়া বাহিরে চলিয়া গেল । সাহেবের ষে ছেলে বিলাতে পড়িত, সে অার এদেশে আসিলই না । শোনা গেল, ইংলণ্ডেই বিবাহ করিয়া সেখানেই সংসার পাতাইয়া সে ইংলণ্ডের প্রজাবৃদ্ধির দিকে মন দিয়াছে। এই সময় নীলগঞ্জের কুঠীতে এক ঘটনা ঘটিল। বাহির হইতে কে একজন সাহেব আসিয়৷ কিছুদিন কুঠীতে রহিল । এ সময়ে প্যাটও কুঠী হইতে চলিয়া গিয়াছিল। নবাগত সাহেবের নাম মিঃ মুডি। এ অঞ্চলে তাহাকে “মুদি সাহেব” বলিত সবাই। ঘূদি সাহেব একটু অতিরিক্ত মাত্রায় মদ খাইভ । একদিন কি ঘটিয়াছিল কেহ জানে না, গভীর রাত্রে মিঃ ফালমনের সঙ্গে মুদি সাহেবের বচসার শব্দ শোনা গেল। বাহির হইতে চাকরে বাকরে কিছু বুঝিল না। হঠাৎ বন্দুকের আওয়াজ হইল, সকলে ছুটিয়া গিয়া দেখে মুদি সাহেবের রক্তাক্ত প্রাণহীন দেহ ঘরের মেঝেতে লুটাইতেছে এবং ঘরের কোণে সেই নীচ জাতীয় দ্বাণীটা দাড়াইয়৷ থক্ থক্ করিয়া কাপিতেছে । श्रृंजिल उमस्र श्हेज । किङ बिः कांजबरनग्न किङ्ग शञ्च मांझे, वTां*ांब्र नैौलकूीब्र नऊ কম্পাউণ্ডের বাহিরে এক পাও গড়ায় নাই। এই ঘটনার পরেও ফালমন্‌ সাহেব অনেকদিন বাচিয়া ছিলেন। একাই থাকিতেন । পুত্র-কন্যা কখনো আসিত না। সাহেবের এক ভাই শোনা যায় ইংলণ্ড হইতে কতবার তাহাকে সেখানে যাইতে লিখিয়াছিল, ফলমন সাহেব বলিতেন—এদেশেই জন্ম, এদেশ ভালবাসি । ৰাবো কোথায়? যখন মরে যাবে। ওই নিমতলাডায় করব দিও, বাবা অার মায়ের পাশে । এদেশেই জন্ম, এদেশেই মাটি মুড়ি দেবে। ফালমন্‌ সাহেব এদেশেই মাটি মুড়ি দিয়াছিলেন। তাহীর মৃত্যু হইয়াছিল আজ হইতে পচিশ বৎসর পূৰ্ব্বে । নীলগঞ্জের কুঠী ভাঙ্গিয়া চুরিয়া জঙ্গল হইয়া গিয়াছে। এখন সেখানে নিমানেও বাঘ বুনোশয়োরের ভয়ে কেউ ৰায় না। কুঠার নিমতলায় ঘন কুচকাটায় দুর্তৃেত ঝোপের ছায়ায় খুজিলে ফালমন সাহেবের কবরের ভগ্নাবশেষ এখনো কৌতুহলী রাখাল বালকদেয় চোখে পড়ে। আলমপুর পরগণার বড় তরফের দে চৌধুরী জমিদার বাবুরা নীলগঞ্জের জমিদানী,গৰ্গমন্টের নীলামে ক্ৰয় করিয়াছিলেন।