পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঙ্গুসন্ধান ♥›ፃ ছেলেদের অস্থবিধে হয়। বুঝলেন। * —জাঙ্কে হ্যা। নিশ্চয়ই। তার আমার শরীরটা একটু খারাপ ছিল বলেই, নইলে ७डनि -ञांप्रह, ७थन चांइन छाद ! শিক্ষকদের বিশ্রাম ঘরে ফিরে আসতেই অল্প সব মাস্টার আগ্রহে জিগ্যেস করেন—কর্তা কি জন্যে ডেকেছিলেন হে? যত্নবাবু হাত-পা নেড়ে বলেন–দিয়ে এলুম শুনিয়ে দু-কথা। জামায় বলে কিনা ফোর্থ ক্লাসের খাত ফেরত দিতে এত দেরি হল কেন ? আমি মুখের ওপরে বলে এলাম মশাই, চল্লিশ টাকা মাইনেতে তো চলে না, আমাদের টুইশানি করে খেতে হয়। সময় পাই কখন যে খাতা সকাল সকাল দেখে দেবো ? দিলাম শুনিয়ে । -दलहजन eहें कथी ? —বলবে না ? এ শখ খোড়াই কেয়ার করে। হি মাস্ট বি টােল্ড সাম হোম টুথ পাশের বাড়ীতে রেডিওতে গান হয়। ও যেন একটি অন্য জগং, রসের জগৎ । যে জগতের সঙ্গে শিক্ষকদের কোনো পরিচয় নেই। শিক্ষকেরা কান পেতে শোনেন। বেরিয়ে এসে সবাই একটা চায়ের দোকানে বসেন। ভাঙা পেয়ালায় চা খান। নারাণবাবুর অপমানে সবাই দুঃখিত। রাখালবাবু বলেন—যেদিন এদেশে শিক্ষকতার কাজ সম্মানিত বলে বিবেচিত হবে, সেদিন বুঝতে হবে জাতি হিসেবে আমরা জেগেছি। আমাদের স্থান কোথায়, নারাণবাবুর ওপর মাখনবাবুর ব্যবহারেই বুঝে নেওয়া যাবে। রাখালবাবু নারাণবাবুকে নিজের বাড়ী নিয়ে যান। বড় শ্রদ্ধা করেন তিনি তার এই সরল অকপট উদার-সৃষ্টিসম্পন্ন সহকৰ্ম্মটিকে। রাখালবাবু বিদেশী শিক্ষক, এখানে উার বাসা। বাসাতে তার স্ত্রী ও তিনটি ছেলেমেয়ে ও ভাইঝি নিভা থাকে। নিভার বয়স বছর আট নয়, ফ্রক পরা ফুটফুটে মেয়োট। নারাণবাৰু তাকে কাছে ডেকে আদর করেন। নারাণবাবুর মেয়ে অমলার শ্বশুর বাড়ী। অমলার শাশুড়ী তার ওপর অত্যন্ত কুব্যবহার করে। ছেলে স্বকুমারের সঙ্গে আমলার দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ। অমলা সেজেগুজে জানলায় বসে আছে—আজ স্বামী কলকাতা থেকে আসবে অনেকদিন পরে । শাশুড়ী এসে বলেন—বলি, হ্যাগ বৌম, বিকেলে বাট নেই, পাট নেই—জোরে জল দেওয়া নেই—অমন পটের বিবি সেজে জামলায় বসে রয়েছ কেন ? সেগুড়ে বালি । স্বকু আজ আসবে না চিঠি লিখেচে। - তুমি উঠে গিয়ে ছাদ থেকে কাপড়গুলো নিয়ে এসে জার এ বেলার ভাত চড়িয়ে দাঁও গে । অমল সলনি মুখে উঠে গেল রান্নাঘরে। তার মন ভেঙে গিয়েছে। স্বামা লে কথা তো