পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

මව8 বিভূতি-রচনাবলী "মারা গেলেন । এইবার আসল কথাটা এসে গিয়েছে। মা তো মারা গেলেন সন্ধ্যার সময়। অনেক রাতে লোকজন যোগাড় হোল। ষে কটি বাঙালী পরিবার নাইরোবিতে সে সময় থাকতো, তাদের সকলের বাড়ী থেকেই মেয়ের ও পুরুষেরা এলেন সে রাত্রে আমাদের বাড়ী খবর পেয়ে। রাত এগারোটার পর আমরা শ্মশানে মৃতদেহ নিয়ে গেলাম । নাইরোবির বাইরে শহর থেকে প্রায় এক ক্রোশ দূরে অপেক্ষাকৃত নিচু জায়গায় নদীর ধারে শ্মশান। স্থানটা বড় নির্জন ও ঘাসের জঙ্গলে ভরা। রাত্রে এ-সব স্থানে সিংহের ভয় ছিল খুব বেশী। সিংহের উপজবে রাতে কেউ বড়-একটা মড়া নিয়ে খেতে সাহস করতে না শ্বশানে। আমাদের সঙ্গে অনেক লোক ছিল । আলো জেলে ও বন্দুক নিয়ে আমাদের দল মৃতদেহ বহন করে শ্মশানে নিয়ে গেল । f মৃতদেহ চিতায় চড়ানো হয়েচে, দাদা মুখাগ্নি করলেন, আমরা সবাই চিতার অদূরে বসে আছি। এমন সময় আমার ছোট ভাই দেবু আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বললে—ঐ দেখো, ও কে झांझ ! আমি চেয়ে দেখলাম। শ্মশানের দক্ষিণ দিকে একটা গাছতলায় একজন ভারতীয় বুদ্ধা মহিলা চুপ করে বসে একদৃষ্টি চিতার দিকে চেয়ে আছে। পরণে তাঁর আধময়লা খান * কাপড়। বাবা সেদিকে চেয়ে বলে উঠলেন—সৰ্ব্বনাশ । ও ষে বামা ঝি। দাদা বললেন-হ্যা ৰাব, বাম দিদিমার মত দেখতে বটে। বাবা বললেন—তোর মনে আছে ? —একটু একটু মনে পড়ে বাবা । আমরা সবাই অবাক হয়ে সেদিকে চেয়ে রইলাম। সত্যি, এই গভীর রাতে এই দুর্গম শ্বাপদসঙ্কুল খুশীন-ভূমিতে কোন বাঙালীর মেয়ে আসবার কথা কেউ কল্পনা করতে পারে না। আমরা কেউ তাকে চিনিও না। কেবল চেনেন বাবা এবং সামান্য কিছু চেনে দাদা। তাদের সাক্ষ্য সেখানে সেদিন গভীর এক তত্বের অবতারণা করলে। কোথায় বা চিতা, কার বা মৃতদেহ, মৃত্যুই বা করি ? বৃক্ষতলে উপবিষ্ট নারীমূৰ্ত্তি কিন্তু আমাদের দিকে লক্ষ্য করে নি। সে সম্পূর্ণ নিম্পূহ, উদাসীন ভাবে একদৃষ্টে জলস্ত চিতার দিকে চেয়ে ৰসে ছিল। এখনো সে ছবি আমি দেখচি ষেন চোখের সামনে। চিরকাল আঁকা থাকবে সে ছবি আমার মনের পটে। হুগলী জেলার এক অখ্যাত গ্রাম থেকে মৃত্যুজী স্নেহের টানে আজ বিশ বছর পরে বামা कि ध्रण ७ण शूर्क बांबिकांब्र माहेरब्रांविग्न थालांन कूत्रिरङ । বেশিক্ষণ আমরা দেখতে পাই নি। সবষ্কন্ধ বোধ হয় মিনিট পাঁচ-ছয় হবে বামা বিকে