পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"එංශු8 বিভূতি-রচনাবলী আমি একটা কবিতা লিখেচি। তোমায় পাঠালুম। ভাল করে নকল করে আমায় দিও না ? কেমন হয়েছে ? আমি সাধারণতঃ তো কবিতা লিখি না। তুমি স্নেহাশীৰ্ব্বাদ নিও। খোকাখুকীদের জানিও। ষোড়শীৰাবুকে সশ্রদ্ধ নমস্কার দিও। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পুঃ –তোমার জন্য মামার মন সত্যিই উদ্বিগ্ন হয়েচে, পত্র পেয়েই চিঠি দাও। ভূল না হয়, मां श्ग्र, मां श्ब्र । পুনঃ—কপি করে তোমার বাবাকে কবিতাটি দেখিয়ে তার মত নিও। তার কেমন লাগে জানিও ঠিক আমাকে। তোমরা ভালে বললে একটা কাগজে দেবে। সৰযুগের কৰি ছুঃখ হতে ক্ষতি হতে যে অমৃত করেছি সঞ্চয় নিত্য পলে পলে মুক্তিকার ধরণীতে কণ্ঠ ভরি গাহি তারি জষ নানা কুতুহলে রজনীর অন্ধকারে অগণিত তারকার ছতি গগন অঙ্গনে কি বিস্ময়ে হেরিয়াছি পুলকিত এক সারারাতি মুগ্ধ শিহরণে— মনে হবে জন্মে জন্মে জন্ম হতে নব জন্মাস্তরে মৃত্যুলোক পারে সেই কথা রেখে যাব অরণ্যের পল্লব-মৰ্ম্মরে ধরার দুয়ারে । দুঃখ ভরা পৃথিবীর কবি আমি নামগোত্রহীন অখ্যাত অনামী মানুষের চিত্ত মাঝে তবু ক’বে মোর মৰ্ম্মবীণ শাশ্বত সে বাণী, অনন্ত বেদনা মাঝে চিরন্তন স্থষ্টির সম্ভার আনন্দ স্বরূপে— আমি যে দেখেছি তার প্রশান্ত স্বভাব অপরূপ রূপে ; তাই মোর কাব্যকথা নবছন্দে হয়েছে মুখর • অশ্রজল মাঝে, কুহুম সঙ্গীতে তাই ধরিত্রীর ব্যাকুল অন্তর ক্ষণে ক্ষণে বাজে ।