পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*ञ्चांदली Woy পুঃ –তোমার জন্য ভালে কাচের চুড়ি নিয়ে যাবো। হাতের মাপ দরকার হবে নাশ স্বতো দিয়ে হাতের মাপ পাঠালে কেমন হয় ? এসব কারবার কখনো করি নি, জানা নেই মোটেই । তাই পরামর্শ দিয়ে সাহায্য কোরো লক্ষ্মীটি। তুমি অমন কেন লিখেচে অনেক অপরাধ করেচি, ক্ষমা করুন। ওতে মনে ভারি কষ্ট পাই, কল্যাণী—অমন লিখো না । शृTांज्ञां७ॉश्छ जख 8X মির্জাপুর ষ্ট্রট কলিকাতা ১৬ই আশ্বিন, ৪৭ সাল কল্যাণীয়াস্ক, এসে অবধি মন সত্যিই বড় উতলা হয়ে রয়েচে, কল্যাণী । এবার যেন কিছু ভাল লাগচে না। ঘাটশিলা যাইনি, কাজ এখনও মেটাতে পারি নি, আগামী কাল (বুধবার ) সকালে নাগপুর প্যাসেঞ্চারে নিশ্চয় যাবো। তুমি সঙ্গে থাকলে কি ভালোই লাগতো ! আমি চলে এলুম, সেই যে তুমি, মায়া, বেলু জানালায় দাড়িয়ে রইলে সেই কথাই মনে হচ্ছে। তুমি যে জত ভোরে উঠে এলে, আমায় অনুরোধ করলে থাকবার জন্যে, সেই ছবিই কেবল মনে হচ্চে। আজ মহালয়ার ছুটি ছিল, কিন্তু আমার এখানে সকাল থেকেই কেবল লোকের ভিড় । একদল যায়, আর একদল আসে। বিরক্ত হয়ে বেলা সাড়ে নটার সময় বেরিয়ে পড়লুম। সজনীর ওখানে গিয়ে দেখি প্রকাগু আডডা বসেছে সেখানে—তারাশঙ্কর, ব্ৰজেনদা, সাতারু শান্তি পাল, সমৃদ্ধ, সজনী, নিৰ্ম্মলা, শৈলজানন্দ, বিভূতি মুখুয্যে, ডাঃ স্বশীল দে (ঢাকা ইউনিভার্সিটির খুব বড় একজন অধ্যাপক, লগুনের ডি-লিট) প্রভৃতি উপস্থিত। রীতিমত সাহিত্যিক আড্ডা। ওরা সবাই কেউ পুরী যাচ্চে, কেউ নাগপুর যাচ্চে, ডাঃ দে বোম্বে যাচ্চেন, সজনী ও তারাশঙ্কর গোয়ালিয়র যাচ্চে (সেই গোয়ালিয়র )—আমায় সজনী বললে—আপনি গেলে বেশ আডড দিতে দিতে যা ওরা যেতেী—কিন্তু আপনি রাচীতে সভাপতিত্ব নিয়ে আমাদের আমোদ মাটি করে দিলেন, নইলে আপনাকে জোর করে ধরে নিয়ে যেতাম। ভালোই হয়েচে গোয়ালিয়র যাই নি, তাহলে তো তোমাদের সঙ্গে পূজোর ছুটিতে আর দেখাই হোত না। ও আমার ভালো লাগে না হৈ হৈ করে বেড়ানো, চির জীবনটাই তো হৈ হৈ করেই কাটিয়ে দিলাম। ইচ্ছে করে নিতৃত নিরিবিলি কোথাও ছুদিন বিশ্রাম করি, অলস শরতের দুপুরে দূরশ্ৰত ঘুগুর উদাস কষ্ঠের সঙ্গীত শুনে জীবনস্বপ্নে বিভোর থাকি, জ্যোজারাত্রে ছাদে শুয়ে বিরাট তারা-ভরা আকাশের দিকে চেয়ে আপন মনে কত কথা ভাৰি— , ,