পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ বিভূতি-রচনাবলী প্রকৃতির কোলে শুয়ে সৌন্দর্যে ভাসায়ে আঁখি সাধ যায় দিবানিশি অনিমেষে চেয়ে থাকি । নিঝুম নীরবে সেথা কি যেন চোখের পরে উজল জোছনা সম নিয়ত ঝরিয়া পড়ে। পরমাণু নিভে যায় ভাঙিয়া জড়ের কারা, কে তুমি ডাকিছ মোরে করিয়া পাগলপারা ? তবে এ সব সাধই । সাধ হলে কি হবে, তা হবার নয় তাও জানি । জীবনের জটিল কৰ্ম্মভার থেকে আমার মুক্তি নেই কোনোদিন । চিঠি দিলাম এই লোভে, বৃহস্পতিবার পেয়ে যদি শুক্রবারে উত্তর দাও—তবে আমি রবিবারে পাবে। চিঠি দিও, ভারি আনন্দ পাবে তা হোলে, পূজোর ষষ্ঠীর দিন তোমার চিঠি পাই যদি । কেমন তো ? g অনেক রাত হয়েচে । এখুনি চিঠি ডাকে দেবো—নইলে কাল সকালে তাড়াতাড়িতে সময় হবে না । 顧 আমার স্নেহশীর্ষবাদ নিও, ও বেলু, খোকা ও অন্যান্য বালক-বালিকাদের জানিও । শ্ৰীবিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ( নীচের পত্রটি খঞ্জামাতা ৮ সাধনা দেবীকে লিখিত ) ডাকমোহর ১১ই জান্থয়ারী, ১৯৪৫ ইং বারাকপুর—৭ই জানুয়ারী। শ্ৰীচরণেষু— T, কানপুর হইতে লক্ষে গিয়েছিলাম। সেখান হইতে আগ্র যাওয়া ঘটে নাই, তবে আসিবার পথে এলাহবাদ ও মোগলসরাই হইয়া আসি। আমাদের রিজার্ড সেকেণ্ড ক্লাস কামরায় দিল্লী মেলে হাওড়া হইতে লইয়া যাওয়া হইয়াছিল। কোন কষ্ট হয় নাই। তবে পশ্চিমাঞ্চলের দুরন্ত শীত সহ করিতে হইয়াছে। ঘুরিয়া ঘুরিয়া আসিতে দেরি হইল, তাই আমত যাইতে পারিলাম না। ২রা জানুয়ারী স্কুল খুলিয়াছে। সরস্বতী পূজার সময় ঘাটশিলা যাইব, ধলভূমগড়ে সাহিত্যসভায় সভাপতিত্ব করিতে হইবে। যত শীঘ্র হয় আপনার প্রচরণদর্শনে যাইৰ ইচ্ছা আছে। আপনার শরীর কেমন আছে ? কল্যাণী ও উমা ভালো আছে । বেীমা গত শনিবার ঘাটশিলায় গেলেন। টু লইয়া গিয়াছে। মায়াদিদি কোথায় ও কেমন আছে ? বেলু স্থলুকেও বহুদিন দেখি নাই। খোক আশা করি পড়াশুনা করিতেছে। শ্বস্তর