পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*द्धांबलौ 9هواپ দিয়েছি তো, মায়াদি আপনাকে জানাননি কেন বুঝলাম না। আমাকে যে পার্ট দেবেনু, তাই নেবো জানবেন। কবে কলকাতায় যেতে হবে জানাবেন। এখানে খুব বর্ষা নেমেছে। প্রচুর বকুলফুল ও শিউলিফুল ফুটচে। শীঘ্রই একবার কলকাতা যাবে এবং আপনার সঙ্গে দেখা করবো-কিন্তু পত্র ঠিক (কিন্তু) দেবেন আপনি। প্রীতি ও শুভেচ্ছা গ্রহণ কঙ্কন। ঐবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। 9२ ঘাটশিলা ૨૨-o-B૭ শ্রদ্ধাস্পদেষু, 聆 vবিজয়ার সাদর সম্ভাষণ গ্রহণ করবেন ও মাকে এবং আপনার বাবাকে জানাবেন। অনেকদিন আপনার সঙ্গে দেখা করা হয়নি। দাঙ্গার পরেই আপনাদের কুশল সংবাদ চেয়ে মীরজাবাবু (মাখন)কে পত্র দিই। তিনি আপনাদের বোধহয় সে চিঠি দেখিয়েছিলেনও। কিন্তু আপনি তো ঠিকানা জানতেন, কোনো চিঠি দিলেন না কেন ? দেওয়া উচিত ছিল। আমি ঠিকানা ভুলে গিয়েছিলুম বলেই চিঠি দিতে পারিনি। ঘাটশিলাতে কল্যাণীরা আছে। আমি কাল চাইবাসা থেকে রাতের ট্রেনে ফিরেচি। ওদিকে অরণ্য ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। সারাও ও কোলহান অঞ্চলের বিস্তৃত বনভূমি কয়েকদিন ধরে দেখে বেড়িয়েচি। সে সৌন্দৰ্য্য দেখবার জিনিস। বনকুসুমের সুগন্ধ যে এত সুন্দর হতে পারে এবং তা যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পৰ্য্যন্ত সমানভাবে বনের বাতাসে বর্তমান থাকে—এ অভিজ্ঞতা এইসব হেমন্তের শাস্ত দিনে বনে বনে না বেড়ালে বোঝা যেতো না। বন্ধহস্তীর বৃংহিত শুনেছি গভীর রাত্রে ডাকবাংলোর লোহার খাটে শুয়ে। জ্যোৎস্নায় উচ্চ বনস্পতির শাখায় বন্যকুকুটকে উড়ে এসে বসতে দেখেছি। এখন তো বন্যঝর্ণার ধারে ধারে দেবকাঞ্চন ও পিটুনিয়া ফুলের শোভা সৰ্ব্বত্র। আশা করি ভালো আছেন। কালীপূজোর পরে স্কুল খুলবে। ২৬শে দেশে ফিরবো এখান থেকে। সেখানে পত্র দেবেন। দাঙ্গার পরে দু'বার কলকাতায় গিয়েছিলাম, সজনীর বাড়ীতেও একদিন যাই—কিন্তু যেদিন গিয়েচি, সেদিনই চলে আসতাম। स्रांज यांझेि । हेडि জীবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।