পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সকালে নিধু চলিয়া ৰাইবে বলিয়া নিধুর মা ভোরে রান্না চড়াইয়াছিলেন। বড় মেয়েকে ভাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—তোর-দাদাকে নেয়ে আগতে বল, ও পুটি— পুটি বলিল—বড়দা এখনও বিছানা থেকে ওঠে নি— —লে কি রে? ওকে উঠতে বল। কখন লাইবে, কখন খাবে—বেলা দেখতে দেখতে क्ष्५म्ल 65छ । C. কিছুক্ষণ পরে নিধু স্নান সারিয়া আসিয়া খাইতে বসিল। নিধুর মা বলিলেন-বাবার সময় একবার ওদের সঙ্গে দেখা করে ষা না ? নিধু বিস্ময়ের স্বরে বলিল—কাদের সঙ্গে ? জজবাবুদের–ওই ওদের–গিল্পীর সঙ্গে, মঞ্জুর সঙ্গে ? —ষ্ঠ, আমি আবার বাই এখন কি মনে করবে, ভাবে জলখাবার খেতে এলেচে সকালবেলা । ... • —তোর যেমন কথা । তা আবার কেউ ভাবে ৰুকি ? বা না ? —আমার সময় নেই। ক' কোশ রান্ত যেতে হবে জানো ? মুখে একথা বলিলেও নিধু মনে-মনে ভাবিতেছিল মঞ্জুর সঙ্গে একবার যাওয়ার সময় দেখাটা হইলে মন্দ হইত না। কিন্তু মা বলিলেই তো সেখানে যাওয়া যায় না। নিধুর মা বলিলেন--সামনের শনিবারে আসৰি কিন্তু। আর পুটির জন্তে ভূ-গজ ফিভে কিনে আনিস-রমেশের জন্তে এক দিস্তে কাগজ I ও ভল্পে তোকে বলতে পারে না। আমায় এসে চুপিচুপি বলচে, আমি বললাম—তুই গিয়ে তোর দাদার কাছে বল না ? বললে—নাম আমার ভয় করে। নিধু মায়ের পায়ের ধূলা লইয়া রওনা হইবার পূৰ্ব্বে ছোট ভাই-বোনের আসিয়া কাড়াকড়ি করিয়া পায়ের ধূলা লইবার চেষ্টায় পরস্পকুধাক্কাধাকি করিতে লাগিল। নিধু শাসনের স্বরে বলিল—রন্থ, চব্বিশধান ইংরিজি-বাংলা হাতের লেখার কথা যেন মনে থাকে। শনিবারে এলে না দেখলে পিঠের ছাল তুলব। রমেশ দাদার সন্মুখ হইতে সরিয়া গেল। বড় লোকের সম্মুখে পড়িলেই যত বিপদ, আড়ালে থাকিলে বহু হাঙ্গামার হাত হইতে রেহাই পাওয়া যায়। পথে পা দিয়াই নিধু একবার জজবাকু বাড়ীর দিকে চাহিল। এখনো বোধ হয় কেউ ওঠে নাই—বড়লোকের বাড়ী, তাড়াতাড়ি উঠবার গরজই বা কিসের। ছায়াভা পথে শরৎ-প্রভাতের স্নিগ্ধ হাওয়ায় যেন নবীন আশা, অপরিচিত অনুভূতি সারা দেহের ও মনের নব পরিবর্তন আনিয়া দেয়। গাছের ডালে বস্ত মটরলতা জ্বলিতেছে, তিৎপদার ফুল ফুটাছে—এবার বর্ধার বেখানে সেখানে বনফুর ঝড়ের বৃদ্ধি অত্যন্ত নেন বেশি। নিং আশ্চর্য হইয়া ভাৰিল—এসব জিনিসের দিকে তাহাৰ মন ভো কখনো তেমন ৰায় না, জাজ ওদিকে এভ নজর পড়িল কেন ?