পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o/s •os I attaré + GICsx : “Value is a matter of comparison", osts উৎকর্ষ বিচারে অন্য উপমেয়ের কথা স্বতঃই উপস্থাপিত। ‘প্রাগৈতিহাসিক মানিক বন্দোপাধ্যায়কে পাওয়া যায় ‘পদ্মানীর মাঝি’ রূপে 'পূৰ্ব্বাশা মাসিকের পৃষ্ঠায় (১৯৩৪ খৃষ্টাব্দ)। বিভূতিভূষণ দক্ষিণ বাংলার রূপকার, মানিক পূৰ্ব্ব বাংলার। স্তজনধৰ্ম্মে সম্পূর্ণ বিভিন্ন দুইজন। இ. ‘পদ্মানীর মারি"র জগং আচ্ছন্ন করে বেজে উঠল একটি বিষাদের স্বর, একটি রূঢ় জীবনদর্শন। পল্লী গ্রামের গাম লতাগুন্মের অন্তরালে শুধু যে ক্ষেত নিঃস্তত হয় না এমন উপলব্ধি শরৎচন্দ্রের ‘পল্লীসমাজে' পেয়েছিলাম। আরও অনেক অগ্রসর হয়ে এলেন মানিক বন্দ্যোপাধ্যায। অর্থনৈতিক সমস্যার স্বীকৃতির সঙ্গে যৌনপ্রবৃত্তির অকপট স্বীকৃতি ও ফলে জীবনের বিরুতি–মানিকের প্রথম যুগের সাহিত্যের উপজীব্য এই ৷ • তিৰ্য্যক দৃষ্টির রাজনীতি শেষযুগে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করে ফেলেছিল। ঘোরতর আদর্শবাদী ছিলেন তিনি সত্যসন্ধানের ক্ষেত্রে। যা সত্য, তা যত বিকৃত হোক না কেন তিনি সন্ধান করবেন। জীবনে তিলমাত্র মমতাবোধ তিনি রাখেন নি। পদ্মার চরে— “ক্ষুধ তৃষ্ণার দেবতা, হাসিকান্নার দেবতা, অন্ধকার আত্মার দেবতার পূজা কোনদিন সাঙ্গ হয় না।” আর বিভূতিভূষণের চির আনন্দময় দেবতা অনন্তশয়নে নয়, তৃণপুপশয়নে নিস্থিত নারায়ণ। দিনপত্নীগুলির পাতায় দেবযানের সমাপ্তি-অংশে অতি প্রকট,প্রায়-ইন্দ্ৰিয়গ্রাহ রূপ দেবতার। এই প্রায়-পৌরাণিক প্রত্যক্ষ দেবমূৰ্ত্তি আবার সর্ববিশ্বে ব্ৰহ্মভাবে ব্যাপ্ত হয়ে প্রচ্ছন্ন প্রভাবে স্রষ্টার জগংকে আনন্দময় করে তুলেছেন । —“সকালে অপূৰ্ব্ব আনন্দ এল মনে ।...মনে হ’ল এই অজস্ৰ কাকলিপূর্ণ প্রভাতের স্নিগ্ধতায় ব্রহ্মা বিরাজ করেন—জলে, স্থলে, উদ্ধে, অধে, দক্ষিণে, উত্তরে, পূৰ্ব্বে ও পশ্চিমে। যেখানে তিনি—সেখানে সব সুন্দর, রসঘন । র্তার বাইরে কি আছে ?” ( বিভূতিভূষণের অপ্রকাশিত দিনলিপি—'কথাসাহিত্য’ কাত্তিক ১৩৭৮)। তবে তো সারা পৃথিবী আনন্দখনি, বস্থধা কুটুম্ব। আনন্দময় পৃথিবীকে কাছে পাবার জন্য তিনি গতি চাইলেন । আমার 'তৃণাঙ্গুরে’র কপিখানায় বিভূতিভূষণের স্বহস্তে লেখা আছে – "শ্ৰীবাণী রায়ের প্রতি । গতিই জীবন। মাটির সঙ্গে যোগ রেখে চলে যে জীবনধারা,ভূমার শান্তি ও উদারতায় পূর্ণ সেই জীবনের ছন্দকে মনে মনে চিরকাল শ্রদ্ধা করে এসেচি। তবে শুধু শ্রদ্ধা করলেই তার অধিকারী হওয়া যায় না—তার জন্যে চাই সাধনা, চাই ত্যাগ—সেটাই সবচেয়ে শক্ত ব্যাপার। ঐবিভূতিভূষণ বনো্যাপাধ্যায় ४३/४छा%, ४७९० ।' জীবনে যদি আনন্দ ও গতি থাকে তবে কি চাই ?