পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo ] গল্প হয়েছে! হেলাফেলা ক'রে যেমন-তেমন করে দু’পাতা লিখে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা তে টাকা কম দিই না । ওকে ব'লে। এবার ভাল দেখে যেন একটা গল্প দেয় ।” এতে ক্রুদ্ধ ও ক্ষুব্ধ হবারই কথা, আমিও হয়েছিলাম। ভার কারণ গল্পটি প্রথম শ্রেণীর অণু, YYYiqBBEEK BD 0 DD KKBDgLL DL K u DBBBBS gOBB DBS S BES পত্ত্বিক গল্পের জন্য পঞ্চাশ টাকা দিচ্ছেন, কেউ কেউ বা আরও বেশী। তবে টাকার প্রশ্নটাও বড় নয়, এত উৎকৃষ্ট রচনার প্রতি এই অবিচারের জন্যই উন্মাটা বোধ হয়েছিল । ফলে তার পর দেখা হওয়ামাত্ৰ কথাটা বিভূতিবাবুকে জানিয়ে বলেছিলাম, “আর কখনও ও কাগজে লেখা দেবেন। না। ওরা আপনার লেখা ছাপার অযোগ্য।’ বিভূতিবাবু, কিন্তু শুনে একটুও বিচলিত বা ক্রুদ্ধ হলেন না, বরং বেশ যেন একটা মজার কথাই শুনলেন, এইভাবেই হাসতে হাশিতে বললেন, *ও, বলেছে বুঝি --টা এই কথা। --চ্যান করুক গে যাক-কী বোঝে। ওটা লেখায় ! আপনিও যেমন ? ব্যস, সম্পূর্ণ মন থেকে উড়িয়ে দিলেন প্রসঙ্গটা । ক্ষণভঙ্গুরের গল্পগুলি বিভূতিবাবুর পরিণত বয়সের পাকা হাতের লেখা। শুধু ‘সিন্ধুরাচরণই নয়—“একটি কোঠাবাডির ইতিহাস’, ‘বুধের মায়ের মৃত্যু” “রামতারণ চাটুয্যে-অথর।” প্রতিটি গল্পং বাংলnসাহিত্যে অবিস্মরণীয় রচনা হিসেবে গণ্য হবে। “রামাতারণ চাটুষে-অথর’ গল্পের যে মূল বক্তব্য তা নিয়ে আরও দু’একটি গল্প তিনি লিখেছেন। তবে তাতে এ গল্পের রসাস্বাদে কিছুমাত্র ব্যাঘাত ঘটে না। এর মধ্যে বিশেষ করে ‘সিন্দুরাচরণ’ ও ‘একটি কোঠাবাড়ির ইতিহাস —বিভুতিভূষণ ছাড়া আর কেউ লিখতে পারতেন না, হয়ত আর কেউ পারবেণ্ড না । কত অনায়াসে কত অসামান্য রচনা লিখতে পারতেন। তিনি এই দুটি গল্পই তায় একটি নমুনা। অসংখ্য তথ্য বাদ দিয়ে সামান্য দু’একটি রেখায় মহান চিত্র অঙ্কন করতে পারেন কোন কোন আশ্চৰ্য শিল্পী, লেখক বিভূতিভূষণ তঁদেরই সগোত্র।

  • ांदृअखकूष्मांव्र मिङ