পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rayo विङ्कडि-ब्रछमावर्टो - । -- BBuu iu0LLDB BDDBDDBB D DDD DBtEB BB DBDD DDD DBz পাশে। নিজে কোনো কথা বললে না। কিন্তু ওর চোখমুখ আগ্ৰহে ও উৎসাহে এবং কৌতুহলে উজ্জ্বল। ভবানী বাট থেকে তরকারি তুলে চোখে দেখে বললেন-চমৎকার কচুর শাক। কার হাতের রায় বৌমা ? নিখারিণী। এ গ্রামের মধ্যে এক অদ্ভুক্ত ধরনের বেী। সে এক সদয় রাস্তা দিয়ে হেঁটে এ বাষ্ঠী ও বাড়ী বায়, অনেকের সঙ্গে কথা কয়, অনেক দুঃসাহসের কাজ করে-ধেমান আজি এই দুপুরে রাস্তা দিয়ে হেঁটে তরকারি আনা ওপাড়া থেকে। এ ধরনের বৌ এ গ্রামে কেউ নেই। লোকে অনেক কানাকানি করে, আঙুল দিয়ে দেখায়, কিন্তু নিস্তারিণী খুব অল্প বয়সের বৌ নয়, আর বেশ শক্ত, শ্বশুর শাশুড়ি বা আয় কাউকেও তেমন মানে না । সুন্দৰী এক সময়ে বেশ ভালোই ছিল, এখন যৌবন সামান্ত একটু পশ্চিমে হেলে পড়েছে। ভবানীয় বড় মমতা হয়। প্ৰাণের শক্তিতে শক্তিময়ী মেয়ে, কত কুৎসা, কত রটনাই শুর নামে। বাংলাদেশের এই পল্লী অঞ্চল যেন শ্রীবের জগৃৎ-সুন্দরী, বুদ্ধিমনী, শক্তিমতী মেয়ে যে স্বাক্টর কি অপূর্ব বস্তু, এই মুখের ক্লাবের দল তার কি জানে ? সমাজ সমাজ করেই গোল এ মহা-সূর্থের ঘল । দেখেছেন এদেশে এই নিস্তারিণীকে আর গয়ামেমকে। ওই অার একটি শক্ত মেয়ে। জীবন-সাধনার বড় অভিজ্ঞান ওয়া চৱিত্ৰ । রামকানাই কবিরাজের কাছে গয়ায় কথা শুনেছিলেন ভবানী । নীলকুঠি বাডসাহেবের মৃত্যুর পর রোজ সে রামকানাই কবিরলজের বাড়ী এসে চৈতন্য-চরিতামৃঙ্গ শুনতো। পরের দুঃখ দেখলে সিকিটা, কাপড়খানা, কখনো এক খুচি চাল দিয়ে সাহায্য করতো। কত লোক প্ৰলোভন দেখিয়েছিল, ৬াতে সে চোলে নি। সব প্রশোভনকে তুচ্ছ করেছিল নিজের মনোয় জোরে। বড় নাকি দুরবস্থাতে পড়েছিল, গ্রামে ওয়া জাতের লোক শুকে একঘরে করেছিল মুকুব্বি বড়সাহেব মারা যাওয়ার পরে-অথচ তারাই এক কালে কত খোেশামোদ করেছিল ওকে, যখন ওর এক কথায় নতুন দ্বাগ-মারা জমির নীলের মাৰ্ক উঠে যেতে পারতে কিংবা কুঠিতে ঘাসকাটার চাকরী পাওয়া যেতো। কাপুরুষের দল । সন্ধ্যার সময় খোপীর আশ্রমে. গিয়ে বসলেন ভবানী। খোপী ওঁকে দেখে খুব খাতির করলে। কিছুক্ষণ পরে ভবানী বললেন-কেমন চলচে ? এই আর একটি মেয়ে, এই থেপী। - সন্ন্যাসিনী বেশ, বন্ধৱ চল্লিশ ধরেন্স, কোনো কালেই সুন্দরী ছিল না, শক্ত সমর্থঘেয়েমানুষ। এই ঘন জঙ্গলের মধ্যে একা থাকে। বাঘ আছে, দ্বাই, লোক আছে--কিছু মানে না। ত্ৰিশূলের এক খোচায় শক্ত হাতে দেবে উড়িয়ে-সেই দুষ্ট লোক আসুক, এ মনের জোয় রাখে।