পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফড় খেলা চড়কডাঙা ক্ষুদ্র গ্রাম। পৌধ-সংক্ৰান্তি উপলক্ষে বড় মেলা হয়। অনাদিবাবু সেকালের বনেদী জমিদার, কাম্পাদহাটির বিখ্যাত জমিদারবংশের ছেলে। বৰ্ত্তমানে অবিশুি সে প্রাচীন গৌরবের কিছুই অবশিষ্ট নেই। বহু শরিকে জমিদারি ভাগ হয়ে গিয়ে চে, কোন রকমে ঠাট বজায় রেখে সংসার চলে । অনাদিবাবু প্ৰথম যৌবনে ফুর্তি করতে গিয়ে অগ্ৰস্তু হাজার পাঁচশ টাকা উড়িয়ে দিয়েছেন, বৰ্ত্তমানেও একটি ব্লক্ষিতায় পেছনে এই দুরবস্থার মধ্যেও মাসে ত্রিশটি টাকা দিতে হয়। লেখাপড়া বিশেষ কিছু জানেন না, বড়লোকের ছেলে, ফুর্তিটাই চিরকার বুঝে এসেছেন। আজকাল অর্থের অভাবে অন্য সব ছেড়ে দিয়ে আফিং ধরতে বাধ্য হয়েছেন। অনাদিবাবু সম্প্রতি চড়কডাঙার মুখুজ্যেবাড়ী এসেছেন বেড়াতে । হরিচরণ মুখুজ্যের তিনি হলেন দূৱ সম্পর্কে ভগ্নীপতি। পৌষ-সংক্রান্তির মেলা তখন বসেছে। একদিন অনাদিবাবু BOL SBBBBLBuD LLDD DDDDLKSS agT DLDELYBt BDBBB BE uuD DBBOBOB BBBLL ডিঙি ম্বেরে উইকি দিয়ে দেখলেন, ভিড়ের কেন্দ্ৰন্থলে ফন্ড-গুটির দুৱাখেলা চলছে। একটা বাটিতে হাড়ের ছোট্টশগুটি ( তার গায়ে এক ফোটা থেকে ছ। ফোটা পৰ্যন্ত খোদাই কৱ } ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।--আর সামনের একটা কাপডেও ঐ রকম ফোটা থেকে ছ। ফোটার ঘর আঁকা আছে; টাকা-পয়সা যে ঘরে ইচ্ছে রাখি, গুটি ঘুরিয়ে জুয়োর মালিক একটি বাটি চাপা দেবে, তার পর গুটি আপনা-আপনি খেমে যখন পড়ে যাবে তখন ঢাকা খুলে যদি দেখা যায়, যে চিহ্নটি পড়েছে সেষ্ট দাগে। অমুক অমুকের টাকা আছে- তখন তাদের টাকার চারগুণ ফেরৎ দেওয়া হবে। এই হল মোটামুটি খেলার ব্যাপারটা। পাশার সংক্ষিপ্ত সংস্করণ । অনাদিবাবু দাডিয়ে দাডিয়ে অনেকক্ষণ দেখলেন খেলাটা । অনেক নিরীহ চাষা, গ্ৰাম্য লোক, এমন কি বালকেরা পৰ্যন্ত খেলে পকেটে বা ট্যাকে যা কিছু এসেছে সব খুইয়ে চলে যাচ্ছে। জিততে বড় একটা কাউকে দেখলেন না। একবার যদি বা যেতে তবে পরের কী-বার উপরি উপরি হারে । লিকি, দুয়ানি, পয়সা ও টাকা জুয়াড়ির সামনে ক্রমেই উচু হয়ে উঠছে। অনাদিবাবু দাডিয়ে দেখে দেখে বললেন-ই্যাকে বাপু, আমি খেলতে পারি? জুয়াড়ি অনাদিবাবুর বেশভূষা দেখে মোটা শিকার ঠাউয়ে সসন্ত্রমে বললো-আজো ষ্ট্যা, অনায়াসে। খেলুন না। বাবু, খেলুন। অনাদিবাৰু পকেট থেকে একটা টাকা বের করে দুই ফোটা আঁকা ঘরে ফেলে দেন। লোকটা বলে--"বাৰু, কোন ঘরে ? --ফুরি 一种f丽?