পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्ऊठूद्ध VEN পত্রবাহকটির কথা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম। সে বাড়ীর ভেতর থেকে এসে আমাদের বললে—মঈজী ডাকছেন। আপনীিদের। বাড়ীর মধ্যে গিয়ে যে দৃশ্য চোখে পড়ল, তা বড়ই করুণ। খোলার ছোট বাড়ীর মধ্যে দু-তিনখানা আলোকবিহীন ঘর। একটা ঘরের দাওয়ায় দু-তিনটি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে বসে কঁদিছে। ঘরের মধ্যে উকি মেরে প্রথমটা ভাল দেখতে পাওয়া গেল না। তার পর দেখি দাঁড়ির খাটিয়ায় কে যেন শুয়ে আছে, তার পাশে মেজের ওপর বসে একটি মেয়ে কঁদছে। বিহারের পল্লীগ্রামের ঘর, ভাল আলো বাতাস আসবার ব্যবস্থা নেই। এ সব ঘরগুলোতে। খোলার দোতলা করবে, অথচ উপযুক্ত পরিমাণে জানলা থাকবে না। আমাদের দেখে মেয়েটি আরও টীৎকার করে কেঁদে উঠল। ওই অসহায় সম্বোবিধবার কান্না যেন আৰ্ত্তনাদের মত শোনাল । তার মধ্যে স্বামীর জন্তে শোক কতকটা নিশ্চয়ই আছে, তার চেয়েও বেশি আছে নিজের কি উপায় হবে তার জঙ্গে আতঙ্কবোধ। আমরা যে ক’জন উপস্থিত আছি, সেটা খুব ভাল করেই বুঝলাম, বাঙালী বিহারী সামাই। মিঃ খাস্তগীর বললেন সস্তুনাৱ সুয়ে-কান্দবেন না মা। আমরা যখন এসেছি, তখন সব वाचन्ड् छहमछ। মিঃ মিশ্র ঘরের মধ্যে উকি মেরে দাওয়ায় এসে দাড়িয়ে বললেন-ও, সে ভেরি স্তাড়ি । আমাদের আসতে দেখে দু-পাঁচটি লোক বাড়ীর মধ্যে ঢুকাল। এতক্ষণ কেউ ছিল না। মিঃ মিশ্র তাদের ধমক দিয়ে বললেন-বাঘমুণ্ডি গ্রামে কি এমন একজন মেয়েমানুষ নেই যে এই বিপদের সময় এখানে এসে দাঁড়িয়ে একটু সাত্বনা দেয় ? শুধু পয়সা করতেই এসেছে সৰ এখানে ? মনুয়ত্ব শেখে নি ? এখানে বেশির ভাগ লোক মুসলমান, আরা জেলা প্ৰভৃতি জায়গা থেকে এসেছে বঙ্গাপালা কেনাবেচা করবার জন্ধে। ছোট গ্রাম, তবে বঙ্গাপালার মস্ত বড় হাটবসে এখানে ফি সোমবারে। এ ব্যবসা উপলক্ষে অনেকগুলি বিদেশী লোক এখানে এসে বাস করছে, অনেকেই খোলার BEDDLDBD BDDDDY DDBDE EBDS BBD DBuBD BDBLBSS DDB BBDB BBB BDDDSS সত্যই রাগ হয় বটে। এ লোকগুলো কি রে বাবা । কেউ নেই। ওর আত্মীয়স্বজন এখানে, সাঙ্গে বিধবা একটি মেয়ে স্বামীর মৃতদেহ আঁকড়ে পড়ে আছে বিদেশ বিস্তুই এ, এ অবস্থায় তাকে সান্ধন দিতেও তো দু-চারটি স্থানীয় মেয়েছেলের আসা উচিত ছিল। শুনলাম নাকি এসেছিল। একেবারে যে মাসে নি তা নয়। কিন্তু এই ভদ্রলোকের মৃত্যু হয়েছে বেলা তিনটের সময়, আর এখন রাত নটা। ছঘণ্টা ধরে কে বসে থাকবে এখানে, বাড়ীঘরোয় কাজকৰ্ম্ম সকলেরই আছে না কি ? এ যুক্তি অকাট্য। কাউকে দোষ দেওয়া যায় না। যদি দোষ দিতে হয় তবে মেয়েটির আধুষ্টিকে।