পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ද්දී “ifiż ❖§ዓ সমাধির উপর রাশি রাশি পুপ ধরাইয়া দেয়। সকলে ভুলিয়া গেলেও বনের গাছপালা শিশুটিকে এখনও ভোলে নাই।” (বিভূতি-রচনাবলী, প্রথম খণ্ড, “পথের পাঁচালী, পৃ. ৩৩) ৷ ‘তাহার পরে সকলে গিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। রাজি গভীর হয়, ছাতিম ফুলের উগ্ৰ সুবাসে হেমন্তের আঁচ-সাগা শিশিয়ার্ক্স নৈশ বায়ু ভরিয়া যায়। মধ্য রাত্রে বেণুৱন শীর্ষে কৃষ্ণপক্ষের টাদের স্নান জ্যোৎস্না উঠিয়া শিশির সিক্ত গাছপালার, ডালে-পাতায় চিক্‌ চিক করে। আলো আঁধারের অপরূপ মায়ায় বন প্রান্ত ঘুমন্ত পরীর দেশের মত রহস্য ভরা। শন শন করিয়া হঠাৎ হয়তো এক ঝলক হাওয়া সোদালির ডাল দুলাইয়া, তেলাকুচা ঝোপের মাথা কঁপাইয়া বহিয়া যায়। “এক-একদিন এই সময় অপুর ঘুম ভাঙিয়া বাইত। “সেই দেবী যেন আসিয়াছেন, সেই গ্রামের বিস্থিত অধিষ্ঠাত্রী দেবী বিশালাক্ষী। “পুলিনশালিনী ইছামতীর ডালিমের রোরার মত স্বচ্ছ জলের ধারে, কুচা শেওলা ভয়া ঠাণ্ডা কাদার কতদিন আগে যাহাঁদের চরণ-চিহ্ন লুপ্ত হইয়া গিয়াছে, তীরের প্রাচীন সপ্তপর্ণটাও হয়তো ঘাদের দেখে নাই, পুৱানে কালের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর মন্দিরে তারাই এক সময়ে ফুল ফল নৈবেণ্ঠে পূজা দিত, আজকালকার লোকেরা কে উহাকে জানে ?” ( বিস্কৃত-রচনাবলী, প্ৰথম খণ্ড ‘পথের পাঁচালী’ পৃ. ৯৭)। বিভূতিভূষণের জন্মের ৪৭.৫৩ বৎসর আগে বরাবপুর গ্রামে নীলকুঠি ছিল। বিভূতিভূষণ অবশ্য বারাকপুর তথা নিশ্চিন্দিপুরে বেঙ্গল ইণ্ডিগো কনসানের হেড কুঠি ছিল বািলরা বর্ণনা করিয়াছেন। (দ্রঃ “পথের পাঁচালী, বিভূতি-রচনাৰলী, প্ৰথম খণ্ড, পৃ. ৩৯ )। কিন্তু প্ৰকৃত পক্ষে যারাকপুর গ্রামের সন্নিকটে মোল্লাহাটিতে ‘বেঙ্গল ইণ্ডিগো কনসার্নের DB u BB aYzmt DD DDu uBDiDBL uBBDBD DBDBDB DBBDBBB LD DDD Biu DDDS gD BDB tDu BB DBuD sBLDB DDtDt DDD DD উনবিংশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে “নীলদর্পণ নাটক রচনা করেন। দীনবন্ধু মিত্রের জন্মস্থান চৌবেরিয়া গ্ৰাম মোল্লাহাটি ও বারাকপুর গ্রামের অতি নিকটেই অবস্থিত। বিভূতিভূষণের দিনলিপি ‘উৎকর্ণ-এ তাহার। ১৯৩৯ সালে দীনবন্ধুর জন্মস্থান চৌবেরিয়া গ্রামে দীনবন্ধুর জন্ম ভিটা পরিদর্শনের কথা পাওয়া যায়। বারাকপুর ও তৎপাশ্ববৰ্ত্তী নীলকুঠি সমূহ ষোল্লাহাট নীলকুঠির অধীনে অবস্থিত ছিল। দীনবন্ধু “নীলদর্পণে মোল্লাহুটি নীলকুঠির অত্যাচারেরই বর্ণনা করিয়াছিলেন। ‘নীলদর্পণ। ১৮৬৭ খৃস্টাব্দে ঢাকা হইতে সৰ্ব্বপ্রথম প্ৰকাশিত হয়। প্ৰথমে নাট্যকার হিসাবে কাহারে নাম ছিল না। এই “নীলদর্পণ রচনার পরেই নাটকের পাণ্ডুলিপিসহ উগাহাঁর জলমগ্ন হইয়া মৃত্যু ঘটিবার সম্ভাবনা ঘটে এবং এই নাটকের জঙ্গই দীনবন্ধু সরকার কর্তৃক তিরস্কৃত হন-পাদরী লং সাহেষ-এর জেল ও জরিমানা হয়- এবং ইংরেজি অনুবাদ কৰ্ম্মের জঙ্গ মাইকেল মধুসূদনের কৰ্ম্মচুক্তি এবং পীটনকারের পদাবনতি ঘটে। বাংলা দেশের সাধারণ নাট্যমঞ্চের সুচনায়ও দীনবন্ধু রচিত “নীলদর্পণ নাটক প্ৰধান ভূমিকা গ্ৰহণ করে। ১৮৭২ খ্ৰীষ্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর "শীলদর্পণ, নাটক মঞ্চস্থ করিয়াই সাধারণ রদ্যালয়ের