পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থ পরিচয় 8e বলচে। ভবানী হাত জুড়ে সাহেবকে নমস্কার করলেন ও একটু হাসলেন। ‘এ্যান্ট ও দেখা দেখি সেভাবে নমস্কার করবার চেষ্টা করলেন, হোলো না । “ভজা মুচিকে গ্র্যান্ট সাহেব হাত পা নেড়ে ছবি আঁকার ব্যাপারটা বোঝাবার চেষ্টা 夺萄乙哥1 ‘ভজামুচি ভবানীর দিকে চেয়ে বললেন-ও বলচে আপনার ছবি আঁকবে। মুই জানি কিনা, এই সাহেবটা ওই রকম করে-একটুখানি চুপটি মেরে বসুন।--[ বিভূতি-রচনাবলী ४२न १९३ श्रृं. २० ] আরও কয়েক পাতা পরে কোলসওয়াদি গ্র্যাণ্ট কর্তৃক তিলুৱা ছবি আঁকার কথা পাওয়া যায়। গ্রামের লোকজন এবং গুরুজনদের চোখ এড়াইয়া সুমুখ জ্যোৎস্না রান্ত্ৰিতে তিলুকে ভবানী বঁড়িয্যে সাহেবের নিকট লইয়া গিয়াছিলেন। সাক্ষী শুধু ছিল ভজা মুচি। ভজা মুচিকে ভবানী বাড়ধ্যে বারণও করিয়া দিয়েছিলেন। “গ্ৰ্যাণ্ট সাহেব দূর থেকে তিলুকে দেখে তাড়াতাডি টুপি খুলে সামনে এসে সম্রামের *ETT Ristorf-Oh, she is a quicemly benuty i Oh ! I am grateful to you, Sir,--তারপর তিনি অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তিলুৱা সলজ্জ মুখের ও অপূৰ্ব কমনীর ভঙ্গির একটা আলগা রেখা চিত্র আঁকতে চেষ্টা করলেন ।

  • ১৮৬৪ সালে প্ৰকাশিত কোলসওয়াদি গ্র্যাণ্টের ‘অ্যাংলো-ইণ্ডিয়ান লাইফ ইন স্কর্যাল বেঙ্গল’ নামক বইয়ের চুয়ান্ন ও সাতায় পৃষ্ঠায় “এ বেঙ্গলী উম্যান” ও “অ্যান ইণ্ডিয়ান ইয়োগী ইনদি হাউস’ নামক দুখন ছবি যথাক্ৰমে তিলু ও ভবানীবুড়িয্যের রেখাচিত্র।

"গ্রামের কেউ টের পায়নি। মুশকিল ছিল, রাত্রি জ্যোৎস্নময়ী। এ মাঠ দিয়ে ও মাঠ দিয়ে ঘুরে তিলু স্বামীকে নিয়ে এল ; ভবানী বিদেশী লোক, গ্রামের রাস্তাঘাট চিনতেন না। ভজা মুচি সইসকে ভবানী সব খুলে বলে বারণ করে দিয়েছিলেন।” (বিভূতি-রচনাবলী, ‘ইছামতী’ দ্বাদশ খণ্ড, পৃ. ২৩)। বিভূতিভূষণের তথ্য সংগ্রহে যে কত নিপুণতা ছিল তাঁহার একটি পরিচয় দিতেছি। “ইছামতী’ উপন্থাসে আছে যে নীলকুঠির খানসামা বেহােরা সইস প্ৰভৃতি নিয়শ্রেণীর কৰ্ম্মচারীগণ নিম্নবর্ণের বাঙালী হিন্দু, ডোম, মুচি, বাগদি প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্য হইতে সংগ্ৰহ করা হইত। বিভূতিভূষণের বারাকপুর গ্রামে তো মুচি ছিলই। তঁহার বিখ্যাত গল্প “আমার ছাত্ৰ’ তো গ্রামের গণেশ মুচিকে লইয়া রচিত হয় (দ্রঃ বিভূতি-রচনাবলী, দশম খণ্ড, পৃ. ২৯৮)। এই প্রসঙ্গে বিভূতিভূষণের ইছামতী’তে আছে : ১। ‘------লীলকুঠিতে কোনো অবাঙ্গালী চাকর বা খানসামা নেই। এই সব আশপাশের গ্রামের মুচি, বাগদি, ডোম শ্রেণীর লোকেরা চাকর খানসামার কাজ করে। ফলে সাহেব মেম সকলেই বাংলা বলতে পারে, হিন্দি কেউ বলেও না, জানেও না।” (বিভূতি-রচনাবলী, vir NN, . Oɔ ) वि. इ. ३२-२७