পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বাদশ খণ্ড).djvu/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ශිෂු ”ific;| t known communities of West Bengal-by Amal Kumar Das, Calcutta 1964) ‘ইছামতী’ হইতে উদ্ধত অংশ এবং উপরোক্ত ইংরেজি উদ্ধৃতি মিলাইয়া পাঠ করিলে দেখা যাইবে বিভূতিভূষণ উপন্সাসের উপকরণ সংগ্রহের ব্যাপারে কত তথ্য-নিষ্ঠ ছিলেন। এ বিষয়ে আরও দু একটি উদাহরণ দিতেছি। ‘’ইছামতী’ উপন্যাসের রামকানাই কবিরাজেয় চরিত্রের উৎসও আমরা ইহার মধ্যে খুজিয়া পাইব । ১ । “আজ অনেকক্ষণ দাসী পিসিমার সঙ্গে গল্প করলুম। সেকালের অনেক কথা হল। ওই সবই আমার জানিবার বড় ইচ্ছে। ঠাকুমাদের চণ্ডীমণ্ডপের ভিটাতে দুর্গোৎসব হত, বড় উঠোন ছিল- আল্লাপিসি দু বেলা গোবর দিতেন, খুৰ লোকজন খেতি-নারিকেল গাছের পাশে ওই ষে সুড়িগলিটা ছিল খিড়কিয় দোয়-মেটে পাচিল ছিল। ওদিকটা। গোলক চাটুধ্যে ছিলেন বাবার মামাতো ভাই-পিসিমার মা ছিলেন ব্ৰঞ্জ চাটুঘোর পিনি। রাখালী পিসিমা ছিলেন চন্দ্ৰ চাটুধের মেয়ে। প্ৰসঙ্গত বলা যাক যে আজই রাখালী পিসিমার মারা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেল। যাবে যাবে কয়ে আর ঘটে উঠল না। পিসিমান্ন শ্বশুরবাড়ি ছিল চৌবেডে। নিবারণ রাখালী পিসিমার ভাই, ভারি সুন্দর দেখতে ছিল-কলেৱাতে মারা যায় আঠারো বছর বয়সে।” (বিভূতি-রচনাবলী, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃ. ১৭৮) । ২ । “বিকেলে একটু মেঘ করেছিল। গঙ্গাচরণের দোকানে কবিরাজ মশাইয়ের সঙ্গে গল্প করছিলুম। আমি বললুম-কি রাধলেন, কবিরাজ মশাই ? কষ্টিকারীর ফলভাজা আর ভাত। এই কবিরাজটি বড় অদ্ভুত মানুষ। বয়স প্রায় সত্তর হবে, কিন্তু সদানন্দ, মুক্ত প্ৰাণ লোক। কোন দেশ থেকে এদেশে এসেচে কেউ জানে না। বিশেষ কিছু হয় না। এই অজ পাড়াগাঁয়ে। তবুও আছে, বলে--এদেশের ওপর মায়া বসে গিয়েছে। সোদালি ফুল দিয়ে। একটা বালিশ তৈরী করেচে, সেই মাথায় দিয়ে শুয়ে থাকে।” (বিভূতি-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড, ', svI ) | ৩। “কবিরাজ ও গঙ্গাচরণ পথের ধারে মাদুর পেতে বট অধঃখের ছায়ায় বসে গল্প করাচে। কাপড় কেটে কবিরাজ নিজেই জামা সেলাই করচে। শুকুনো ভেষজ পাতালত কলকাতার চালান দেবে, তারই মতলব আঁটিচে । বড় ভাল লাগল বিশেষ করে আজ ওদের গল্পসল্প। আসবার সময় ছাতা নিয়ে এলুম, তখন রাত হয়ে গিয়েচে, আমাদের ঘাটে যখন নাইতে নেমেচি, আকাশে অনেক নক্ষত্ৰ উঠেছে।” (বিভূতি-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড, পৃ. ৪৯০ ) { ৪। সকালে উঠে ফুঠীর মাঠে বেড়াতে গিয়ে আজ বড় আনন্দ পেলাম। দুপুরে পাটশিমলে রওনা হওয়া গেল পায়ে হেঁটে। কবিরাজ মশায় পাঠশালায় ছেলে পড়াচ্চেন, তার কাছে বসে একটু গল্প করে বট অশ্বখের ছায়াভিরা পখ দিয়ে মোল্লাহাটির খেয়াঘাটে গিয়ে পার इगांभ' (विख्रि-ब्रष्नांबौ, छऔव्र १७, शृं. 8२») । ৫। ‘-কুঠার মাঠের বাড়ির হুধারে বন কেটে উড়িয়ে দিয়েছে--সেই লতাবিতান, সেই -ঝোপ-ঝাপ এবার কোথায় উড়ে গিয়েচে । দেশময়ই দেখচি এই অবজ্ঞা । বেলেডাঙ্গায়