পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত ᏓᏉᎩ সনাতন হিন্দুধর্মের চিরাচরিত প্রথার নিন্দাবাদ করিতেছে ; ইহাতে একদল ছেলে খুব চটিয়া উঠিল—চারিদিক strs Shame, shame', Withdraw, withdraw’, ¥ €foতাহার নিজের বন্ধুদল প্রশংসাসূচক হাততালি দিতে লাগিল—ফলে এত গোলমালের স্বষ্টি হইয়া পড়িল যে, মন্মথ বক্তৃতার শেষের দিকে কি সলিল সভার কেহই তাহার একবর্ণও বুঝিতে পারিল না। প্ৰণবের দলই ভারী। তাহারা প্রণবকে আকাশে তুলিল, মন্মথকে স্বধৰ্মবিরোধী নাস্তিক বলিয়া গালি দিল, সে যে হিন্দুশাস্ত্র একছত্ৰও না পডিয়া কোন স্পর্ধায় বর্ণাশ্রমধর্মের বিকদ্ধে প্রকাশু সভায় কথা বলিতে সাহস করিল, তাহীতে কেহ কেহ আশ্চর্য হইয়া গেল। লাটিনভাষার সহিত তাহার পরিচয়ের সভ্যতা লইয়াও দু’একজন তীব্র মন্তব্য প্রকাশ করিল। (লাটিন জানে বলিয়া অনেকের রাগ ছিল তাহার উপর ) –একজন দাড়াইয়া উঠিয়া বলিল, —প্রতিপক্ষের বক্তার সংস্কৃতে যেমন অধিকার, যদি তাহার লাটিন ভাষার অধিকারও সেই ধরণের— আক্রমণ ক্রমেই ব্যক্তিগত হইয়া উঠিতেছে দেখিয়া সভাপতি—অর্থনীতির অধ্যাপক মিঃ দে বলিয়া উঠিলেন- ‘Come, come, Mammatha has never said that he is a Seneca or a Lucretius—have the goodnnss to come to the point.' অপু এই প্রথম এরকম ধরণের সভায় যোগ দিল—স্কুলে এসব ছিল না, যদিও হেডমাস্টার প্রতিবারই হইবার আশ্বাস দিতেন। এখানে এদিনকার ব্যাপারটা তাহার কাছে নিতান্ত হাস্তাস্পদ ঠেকিল! ওসব মামুলি কথা মামুলিভাবে বলিয়া লাভ কি ? সামনের অধিবেশনে সে নিজে একটা প্রবন্ধ পড়িবে। সে দেখাইয়া দিবে—ওসব একঘেয়ে মামুলি বুলি না আওড়াইয়া কি ভাবে প্রবন্ধ লেখা যায়। একেবারে নূতন এমন বিষয় লইয়া সে লিখিবে, যাহা লইয়া কখনও কেহ আলোচনা করে নাই। এক সপ্তাহ খাটির প্রবন্ধ লিখিয়া ফেলিল। নাম—‘নৃতনের আহবান । সকল বিষয়ে পুরাতনকে ছাটিয়া একেবারে বাদ । কি আচার-ব্যবহার, কি সাহিত্য, কি দেখিবার ভঙ্গি— সব বিষয়েই নূতনকে বরণ করিয়া লইতে হইবে। অপু মনে মনে অনুভব করে, তাহার মধ্যে এমন একটা কিছু আছে যাহা খুব বড়, খুব সুন্দর। তাহার উনিশ বৎসরের জীবনের প্রতিদিনের সুখদুঃখ,পথের যে-ছেলেটি অসহায় ভাবে কাদিয়া উঠিয়াছে, কবে এক অপরাহ্লের মান আলোয় যে পাখিটা তাহদের দেশের বনের ধারে বসিয়া দোল থাইত, দিদির চোখের মমতা-ভরা দৃষ্টি, লীলার বন্ধুত্ব,রাখুদি, নির্মলা, দেবব্রত, রৌদ্রদীপ্ত নীলাকাশ,জ্যোৎস্ন। রাত্ৰি— নানা কল্পনার টুকরা, কত কি আশা-নিরাশীর লুকোচুরি—সবসুদ্ধ লষ্টয়া এই যে উনিশটি বৎসর—ইহা তাহার বৃথা যায় নাই—কোটি কোটি যোজন দূর শূন্তপার হইতে স্বর্যের আলো যেমন নি:শব্দ জ্যোতির অবদানে তীর্ণ শিশু-চারাকে পত্রপুষ্পকলে সমৃদ্ধ করিয়া তোলে, এই উনিশ বৎসরের জীবনের মধ্য দিয়া শাশ্বত অনন্ত তেমনি ওর প্রবধর্মান তরুণ প্রাণে তাহার বাণী পৌছাইয়া দিয়াছে—ছায়ান্ধকার তৃণভূমির গন্ধে, ডfলৈ ডালে সোনার সি দুর-মাখানে وتحصaة .fa