পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাঙ্কুর ᎼᏔᏱᎩ ভুল করেন, দেখে ভারী আনন্দ হোল সজনীবাবু কাল কিন্তু ঠিক আটের ধারাটা আমার বুঝে ফেলেচে । আটকে বুদ্ধির চেয়ে হৃদয় দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলে বাঝা যায় বেশী । এবার বাড়ি গিয়ে গত শনিবারে অনেকদিন পরে কি আননষ্ট পেলুম। মটর লতা, কাঠবেড়ালী, নাট্যকুল—বর্ষাসরস লঙ্গপান্তীর ভর সুগন্ধ । কাল প্রবাণী থেকে গিরীনবাবুর বাড়ি, সেখান থেকে বিন্‌ সাহেবের কাছে অনেকদিন পরে। বেশ দিনটি কাটলো। বিস্তৃতির সঙ্গেও দেথা । আজ সকালে উঠে অনেকদিন পরে ইসমাইলপুরের সেই কীর্তনের গানটা মনে পড়ল “...যাত রহি শেষ দুটো কথা ছাড়া আর আমার কিছু মনে নাই, অথচ গানের ভাবটা আমি জানি। ভারী আনন্দ হোল আজ মনে। শুধুই মনে হচ্ছিল জীবনটাকে আমরা ঠিক চোখে অনেক সময় দেখতে শিথিনে বলেই যত গোল বাধে। জীবন আত্মার একটা বিচিত্র, অপূর্ব অভিজ্ঞতা। এর আস্বাদ শুধু এর অনুভূতিতে। সেই অনুভূতি যতই বিচিত্র হবে, জীবন সেখানে ততই সম্পূর্ণ, ততই সার্থক । সেইদিক থেকে দেখলে দুঃখ জীবনের বড় সম্পদ, দৈন্ত বড় সম্পদ, শোক, দারিদ্রা, ব্যর্থত৷ বড় সম্পদ, মহৎ সম্পদ। যে জীবন শুধু ধনে মানে সার্থক গল্প, সাফল্যে, সুখে-সম্পদে ভর, শুধুই যেখানে ন চাইতে পাওয়া, শুধুই চারিধারে প্রাচুর্যের, বিলাসের মেলা—যে জীবন অশ্রুকে জানে না, অপমানকে জানে না, আশাহত ব্যর্থতাকে জানে না, যে জীবনে শেষরাত্রের জ্যোৎস্নায় বহুদিন-হারা মেয়ের মুখ ভাববার সৌভাগ্য নেই, শিশুপুত্র দুধ থেতে চাইলে পিটুলি গোল খাইয়ে প্রবঞ্চনা করতে হয়নি, সে জীবন মরুভূমি। সে মুখসম্পদধনসম্পদ-ভরা ভয়ানক জীবনকে আমরা যেন ভয় করতে শিথি । এক-এক সময় মনটা এমন একটা স্তরে নেমে আসে, যখন জীবনের আসল দিকটা বড় চোপে পড়ে যায়, আজ অনেকদিন পরে একটা সেই ধরনের শুভদিন । কলকাতার শহরে এ দিন আসে না । আজ একটি স্মরণীয় দিন, এই হিসাবে যে আমার বইখানার আজ শেষ ফর্মটি ছাপ। হোল। আজ মাসখানেক ধরে বইখানা নিয়ে যে অক্লান্ত পরিশ্রম করেচি—কত ডাবন, কত রাত-জাগ, সংশোধনের ও পরিবর্তনের ও প্রক দেখার যে ব্যত্র আগ্রহ, गदांब्रहे ठांछ পরিসমাপ্তি। এইমাত্র প্রবাসী অফিসে বসে শেষ প্যারাটার প্রক দেখে দিয়ে এলুম। ঠিক দুমাল লাগলো ছাপতে । ঘনবর্ষার দিনটি আজ। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দূরে চেয়ে কত কথা মনে পড়ে। কিন্তু সে-সব কথা এখানে আর তুলবো না। दि. ब्र २->>