পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাস্কুর ᎼᏔᎽ মম যেন কি বলে বুঝতে পারি নে। কত কথা মনে হোল।.সারা জীবনের আনন্দ ও সৌন্দর্য আজ আমার মনে ভিড় করেচে.ম্মরণীয় দিন, অতি স্মরণীয় দিন, এরকম কিন্তু খুব বেশী দিন আসে না।. ইনস্টিটুটে সেই মহিলা পর্যটকের কথা পড়ছিলুম-তুষারবী শীতের রাত্রে উত্তরমেরু প্রদেশের বরফ জমা নদী ও অন্ধকার অরণ্যভূমির মধ্যে তিনি তাবু ফেলে রাত্রে বিশ্রাম করতেন, দুরে CNozo Northern Light জলে, একা তিনি Štīrs—"amidst a waste of frozen river, and dark forests"–CHRțR FfH ČR“ stossi. Gréasi ...? $3 শাস্তি, মাথার উপর হলুদ রং-এর চাদ, অবাস্তর, অন্ত গ্রহের জ্যোতিষ্কের মত দেখায়.নৈশ আকাশে অগণ্য নক্ষত্র.আশেপাশে শুভ্রতুষারাবৃত পাইন অরণ্যের আড়ালে লোলুপ নেকড়ের দল— আর ভাবতে পারা যায় না, মনকে বড় মুগ্ধ, অভিভূত করে। সন্ধ্যাবেল এসে চেয়ারটাতে বসে চুপ করে ভাবতে ভাবতে মনে পড়ল এই সব শীতের রাত্রে ছেলেবেলায় আমাদের বাড়ির পেছনের ঘন বনে শিয়াল ডাকতো গভীর রাত্রে.সেই বিপদের ভয়, অজানার মোহ, গ্রাম্য জীবনের সৌন্দর্য অদ্ভুত, অপূর্ব"। আরও মনে পড়লো ইসমাইলপুরের জ্যোৎস্না রাত্রির সে অপার্থিব, weird beauty. সেই এক পূর্ণিমা-রাত্রির শুভ্ৰ জ্যোৎস্নার ঢেউয়ের নীচে আকন গাছ ..স্বপ্নে যেন দেখি... সেই কুমোরদের বাড়ি চাক ঘোরাচ্ছে দামু পঞ্চাননতলায় কালীপুজো . ভগবান, কি অসীম বিচিত্ৰত দিয়ে এই জীবন, আমার শুধু নয়, সকলের জীবন গড়ে তুলচো—তা কে দেখে ? কে বোঝে ? ধন্যবাদ, অগণিত ধন্তবাদ...হে সৌন্দর্যস্রষ্টা মহাশিল্পী, তোমাকে অস্তরের প্রেম কি বলে জানাবো, ভাষা খুঁজে পাই না . এ তো শুধু পৃথিবীর মুখদু:খের কথা লিখচি—তবুও তো আজ নক্ষত্রিক শূন্তের কথা ভাবি নি, অন্ত অন্ত জগতের কথা তুলিনি। অন্ত গ্ৰহ-উপগ্রহের কথা ওঠাই নি” দূর-দূরান্তের কথা তুলি নি . নতুন বৎসরের প্রথম দিনটাতে এবার মোটরে করে শ্ৰীনগর গেলুম। চালকী থেকে খুকীকে তুলে নিলুম, পরে গোপালনগরের বাজারে বন্ধুর ড্রাইভার গৌরকে হরিবোলা ঠিক করে দিলে। ড্রাইভারটা প্রথমটাতে মেঠো পথে যেতে চায় না। অবশেষে অনেক করে রাজী করানো গেল ; সিমলাতে গিয়ে কালাকে ডাকতে পাঠানো গেল, সে নাকি ভাত রণধচে । একটি ছোট মেয়ে জল নিয়ে এল বালতিত্তে করে। খাবার খেয়ে নিয়ে আমরা আবার হলুম রওনা । শ্ৰীনগরের বনের মাথায় মটর ফুলের মত একরকম ফুল অজস্ৰ ফুটে আছে, এত চমৎকার লাগছিল। আসবার সময় ডাইনে পশ্চিম আকাশে সুর্য অস্ত যাচ্ছিল—ঙ্গাকাশের কি চমৎকার রঙটা যে | রাত আটটার সময় পৌঁছে গেলুম কলকাতা, ঠিকচারটার সময় সিমলে থেকে ছেড়ে।