পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাকুর ኃ፭ፃ এ সময়ে এত গরম আর কখনো কলকাতায় দেখেচি বলে তো মনে হয় না । অনেকদিন লিখিনি—বাজে জিনিস না লেখাই ভাল, অন্ততঃ এখাতায়। আজ পুরটাতে কৃষ্ণধনবাবুর সঙ্গে বেরিয়েছিলাম, কবিশেখর কালিদাস রায় ও দক্ষিণাবাবুর বাড়ি—সেখান থেকে এসে বারান্দাতে বসেছিলাম, হঠাৎ মনে হল একবার নিউ মার্কেটে গিয়ে Wide World Magazine Coto wish শাখারীটোলায় ভীমেদের বাড়িতে গেলাম, ওরা আজ নতুন খাতা করতে বেরিয়েচে। মোড়ের মাথায় টাটি একটা মুদীর দোকানে দাড়িয়ে হালখাতা করচে—তাকে ডেকে আদর করে ভারি আনন্দ পেলাম-তারপর নিউ মার্কেট ঘুরে এই মাত্র ফিরে আসচি। বেজায় গরম পড়েচে আজ কলকাতায় । জীবনের সৌন্দর্যের কথাই শুধু আজ ক'দিন ধরে ভাবচি। কি জানি কেন শুধুই মনে পড়চে ছেলেবেলায় যে টক এচিড়ের চচ্চড়ি ও টক কলাইয়ের ডাল দিয়ে ভাত খেতুম রায়ঘরের দাওয়ায় বলে—সেই কথা। সেই মুচুকুন্দ চাপার গন্ধের কথা। জীবনটার কৰা ভাবলেই আননে মুগ্ধ হতে হয়। এত বিচিত্র অম্বভূতি, এত পরিবর্তন, এত রস, এত যাওয়াআলা—ভেবে অবাক হয়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে এই মাত্র ক্যাম্বেল স্কুলটার সামনে দিয়ে যেতে যেতে মনে হল, মাহুত্ব অনস্তের সস্তান—একথা মিথ্যা নয়, কে বলে মিথ্যা! সমগ্র নক্ষত্র জগতের জীবন–জরাহীন, মৃত্যুহীন, অপরাজেয় জীবন-ধারা তার নিজস্ব । সকল নক্ষত্রের পাশের দেশে—ওই যে নক্ষত্রটা আমার বারানার ওপর মিটিমটি জলচে–ওদের চারিপাশে আমাদের মত গ্রহরাজি আছে হয়তো–তাতেও জীব আছে, অন্ত বিবর্তনের প্রাণী হলেও তাদেরও মুখ-দুঃখ, শিল্প, অমৃভূতি, মৃত্যু, প্রেম সবই আছে—দূরের নীহারিকা, Globular Cluster-দের জগৎ, সে সব তো আলাদা বিশ্ব, তাতে তো অপূর্ব অজ্ঞাত সব জীবনধারা—আমার জীবনও তে, কত দূর পথ চেয়ে কত্ত অনন্তু সৌন্দর্যস্তম্ভের মধ্যে দিয়ে কাটবে তা কে জানে ?.. এই বড় জীবনটা আমার. মানুষের মনে এই জ্ঞানটা শুধু পৌঁছে দিতে হবে যে, সে ছোট নয়, সে বড়, সে অনস্ত। যদি যুগে যুগে আসি যাই তা হলেও তে। ওরকম কত কালবৈশাখী, কত মুচুকুন্দ চাপার গন্ধ, কত টক কলাইয়ের ডাল আমার হবে। কিন্তু প্রকৃতির নিরাবরণ মুক্ত রূপের স্পর্শে এই অনুভূতি খোলে। স্বপ্ত আত্মা জাগ্রত হয় চৈত্র দুপুরের অলস নিমফুলের গন্ধে, জ্যোৎস্না-ভরা মাঠে, আকনা ফুলের বনে, পাখীর বেলা-যাওয়া উদাস গানে, মাঠের দূর পারে স্বর্যান্তের ছবিতে, ঝরা পাতার রাশির গোদামোদ শুকনো শুকনে মুবাসে। প্রকৃতি তাই আমার বড় বিশল্যকরণী—স্বত, মূৰ্ছিত চেতনাকে জাগ্রত করতে অত বড় ঔষধ আর নাই। चाहेनर्गेहेन्। बागप्ध्न-दिविउ श्वांद्र क्यङ७को वस्त्र क्रयउ; c१८कोप्न किङ्क cनाथ