পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাস্কুর &〉° তার চেয়ে কোন অংশে কম নিত্য নয় আমার অবোধ, অসহায়, রোগশীর্ণ খুকীর দন্তহীন কচিমুখের অনাদৃত, অপ্রাথিত, অর্থহীন, অকারণ হাসিটুধু । বরং আমি বলচি তা আরও বড়এই বিশ্বের কোথাও যেন এমন একটা বিপুল ও সুপ্রতিষ্ঠ অধ্যাত্ম নীতি আছে, উদীয়মান BBBB BBBBBB BB BBS BBBBBB BB BBBB BBBB BBBSBBB BBB BSBB BBBB জাগায়, সকল স্বল্পকে অর্থযুক্ত করে—এইজস্ব অর্থযুক্ত করে যে, যে গৌরবে স্বাক্টর সৌন্দর্য রূপ পেয়েচে, মহিমময় হয়েছে—সেই বর্ণ সবিতার দান, আদিম অন্ধকারে অবগুষ্ঠিত বসুন্ধরার মুখের আবরণ অপসারিত করেছেন সবিতা তার আলোর অঙ্গুলির ম্পর্শে—তাকে সর্থক করেচেন, জাগ্রত করেচেন, মাটির মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা তারই তেজোময় মন্ত্রে। খুর্কীর হাসি সবিতার ওই অমৃতজ্যোতির মত, তা মৃত্যুঞ্জয়ী, তা বিশ্বের জড়পিণ্ডে প্রাণের সঞ্চার করে, বিপুল স্বষ্টিকে অর্থযুক্ত করে, গৌরবময় করে। ভা মিথ্যা নয়, অনিত্য নয়,--তা শাশ্বত, তা অযুত । এবং তা সম্ভব হয়েচে স্বষ্টির ওই অধ্যাত্মনীতির আইনে—ও নীতি অমোঘ— গুর শক্তি ও ওর সত্য, অস্তিত্ব, অন্তরতম অস্তরে অনুভব করতে পারি—কিন্তু ভাষায় বোঝান যায় না।

  • বেলা পড়ে এসেচে। রাঙা রোদ দূরের পাহাড়ের মাথায়, শালবনে, রাঙামাটির টিলার গায়ে । চারিধার কত নি:শব্দ-আকাশ কেমন নীল—অনেকদিন এমন মনের আনন্দ পাই নি—কলকাতার মুমুধু নিস্তেজ মন কালসার রাত ও আজ সারাদিনের মাঝে বন্ত-সৌনর্য দেখে, প্রথম বসন্তে ফুটন্ত পলাশ বনের ও ধাতুপ ফুলের প্রাণবস্ত রূপ দেখে—ইব, স্টেশনের অরণ্য-নদী-পর্ব ও সমাচ্ছন্ন বিরাট পটভূমির দৃশ্বে একমুহূর্তে তাজা হয়ে উঠল—কি ঘন শালপলাশের বন—কি সুন্দর জনহীন প্রান্তর, দূরে দূরে নির্জন পর্বতমালা—মন অভিভূত হয়ে পড়ে কিন্তু হৃদয়ের অভ্যস্তরে মাথা সতেজ হয়ে ওঠে। রোদ কি অপূর্ব রাঙা হয়ে এসেচে— স্টেশনের পাশের পথটা দিয়ে সোমড়ার হাট থেকে সাওতালী মেয়ের হাট করে ঝুড়ি মাথায় নিয়ে যাচ্চে। হাটটায় এইমাত্র আমি, প্রমোদবাবু ও কিরণবাবু বেড়াতে গিয়েছিলাম— বেগুন, রেড়ির বীজ, কচি ইচড়, চিংড়ি, কুমড়ে, খই, মুড়ি বিক্রি করচে। এক জায়গায় একটি সাওতালী যুবতী ধান দিয়ে মুড়কী নিচ্চে। এই হাটের সামনে একটা প্রাকৃতিক জলাশয়ে আমরা স্নান করলুম। ভারী আনন্দ পেয়েচি আজ—ভাগলপুর ছেড়ে আসবার পরে এত্ত আনন্দ সত্যই অনেককাল পাই নি ।

রোদের রাঙা রং অতি অপূর্ব ! ডাকবাংলো থেকে লোক জিজ্ঞেস করতে এসেচে আমরা রাত্রে কি খাব।

  • সকালে আমরা রওনা হলাম। পথে কি মুনীর একটা পাহাড়ী ঝরনা। সিরসির করে
  • সম্বলপুর
  • বিক্রমখোলের পথে