পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাস্কুর &説や [ আমি "অপরাজিত-র এক স্থানে অবিকল এই ভাবই ব্যক্ত করেচি। অনেক পূর্বেই করেচি-তখন তো আমি সেনেকার এ উক্তিগুলি পড়ি নি--কিন্তু কি চমৎকার মিল শ}ছে ! ] অনেকদিন লিখি নি, মনেও ছিল না। হঠাৎ আজ মনে হল ৩াই সামান্ত এতটুকু লিখে রাখলাম। আজকার তারিখটা অন্ততঃ খাতায় থাকুক। আজ বৈকালে নাগপুর এসে পৌছেচি। এবার পূজোয় এখানেই আসবে। ঠিক করে রেখেছিলাম। আজ সারাদিন গাডির বর্ণকুনিতে বড় কষ্ট হয়েচে । গত মাপকয়েক আগে যে বেলপাহাড়ে এসেছিলাম সে স্টেশনটা আজ রাত্তে—শেষ রাতে বেরিয়ে চলে গেছে, দেখতে পাই নি। বিলাসপুর পর্যন্ত তো বেশ এলাম। বিলাসপুর স্টেশনে আমরা চ থেলাম। বিলাসপুর ছাড়িয়ে নাগপুর পর্যন্ত প্রায় একই একঘেয়ে দৃশু—সীমাহীন সমতলভূমি এক চক্রবালরেখা থেকে থেকে অন্ত চক্রবালে পর্যন্ত বিস্তৃত। দৃপ্ত বড় একঘেয়ে, প্রায়ই ধানের ক্ষেত ও জলাভূমি—মাঝে মাঝে ছোট ছোট শালবন । রাঙামাটিও সব জায়গায় নেই। বেলপাহাড়ের মত পাহাড় ও জঙ্গল এ পথে কোথাও নেই—এক ডোঙ্গয়গড় ছাড়া ! ডোঙ্গরথ ছাড়িয়ে তিন-চারটা স্টেশন পর্যন্ত দৃশ্ব ঠিক আমি যা চাই তাই। উভয় পাশে ঘন অরণ্য, SBBS BB BB BBBBS BB BBB BBB BBS BBBBBS BBBB BBB BBBD g বন অধিকতর গভীর কিন্তু এইটুকু যা, তারপর আবার সেই একঘেয়ে সমতলভূমি—নাগপুর পর্যন্ত। বাংলাদেশে এত অনন্তপ্রসারী দিক চক্রবালদেশের কল্পনাও করতে পারা যায় না । এই সব স্থানে জ্যোৎস্নারাত্রে ও অল্পরাত্রে যে অদ্ভুত দেখতে হবে তা বুঝতে পারলাম— তবু মনে হল বনভূমির বৈচিত্র্য ও সৌন্দর্য যা বাংলাদেশে আছে, তা এসব অঞ্চলে নেই। বাংলার সে কমনীয় আপন-ভোলানো রূপ এদের কৈ ? এখানকার যা রূপ তা বড় বেশী রুক্ষ। অবশ্ব ডোঙ্গরগড় স্টেশন ছাড়িয়েই যে পাহাড় পড়ে—এমন অনাবৃত শিলাস্তুপ, অত গম্ভীর-দর্শন উন্নহভূমি বাংলার কোথাও নেই একথা ঠিক—কিন্তু বাংলায় যা আছে, এথানকার লোকে তা কল্পনাও করতে পারবে না । বৈকালে নাগপুরে কোতোয়াল সাহেবের বাংলোয় এসে উঠলাম। তারপর চা থেয়ে আমি ও প্রমোদবাবু বেড়াতে বেরুলাম। শহরের উত্তর পশ্চিম প্রান্তে একটা বড় পাহাড় আছে, শালবনে আবৃত, নীচে দিয়ে মোটরের পথ আছে। দুজনে সেখানে একটা শিলাখণ্ডের ওপর গিয়ে বসলাম । হাওয়া কি মুনীর। দুজন ভদ্রলোক পথে বেড়াচ্ছিলেন, তাদের চেহারা দেখে আমার মারহাটি সেনানায়ক ভাস্কর পণ্ডিতের কথা মনে পড়ল । সন্ধ্যতার উঠেচে। পাহাড়ের বনভূমি অন্ধকার হয়ে এল। দূরে বনের মাথার দিকে চেয়ে দেখলাম—ওদিকে সাতাশ মাইল প্রান্তর, অরণ্য, নদী পার হয়ে তবে বারাকপুর। হাটবার, আজ রবিবার, সন্ধ্যা হয়েচে, কাচিকাটার পুল দিয়ে গণেশ মুচি হাট করে ফিরচে, আর বলতে বলতে যাচ্চে—হাটে বেগুন আজ খুব সস্তা। —এত জায়গা থাকতে ও জায়গার কথা আমার এত মনে হয় কেন ?