পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ々や বিভূতি-রচনাবলী সাজানো বাধানে সিড়ি ভেঙে জল সংগ্রহ করা অত্যন্ত কষ্টকর। বাংলোয় চৌকিদারের কাছ থেকে জল চেয়ে দুজনে খেলাম । ক্রমে সন্ধ্যা হয় হয় । ড্রাইভারটা কোথায় ছিল—হর্ন দিতে দিতে এল। প্রমোদবাবু ছড়ি ফেলে এসেছেন—তুদের ঘাটে নেমে আনতে গেলেন । করে বললেন-ছায়া আরও BBBBB BBB BBB BBS BBBBB BBB BB DSDS BBB BBSBBS gBBkk থেকে মোটর ছেড়ে শৈলমালাবৃত মুন্দর পথে রামটেক্‌ এলাম। রামটেকে যখন এসেচ, তখন বেলা আর নেই, স্বর্য অস্ত গেছে। অপরাহ্লের ছায়ায় রামটেকের স্ববৃহৎ উপত্যকা ও ছায়াচ্ছন্ন অরণ্যাবৃত শান্ত অধিত্যকণভূমির দৃপ্ত আমাদের কাছে এতই অপ্রত্যাশিত ভাবে সুন্দর মনে হল যে, আমি মনে মনে বিস্মিত হয়ে গেলাম—এই সুন্দর গিরিসামুদেশ এথনি জ্যোৎস্নায় শুভ্র হয়ে উঠবে, এই নির্জনতা, সেই প্রাচীন দিনের স্মৃতি—এসব মিলে এখনি একে কি অপরূপ রূপই দেবে—কিন্তু আমরা এখানে পৌছতে দেরি করে ফেলেচি, বেশীক্ষণ এই ছায়াভরা ধূসর সামুশোভা উপভোগ করতে তো পারব না! পথ খুব চওড়া পাথরে বাধানো —কিন্তু উঠেই চলেচি, সিড়ি আর শেষ হয় না। প্রথমে একটা দরজা, সেটা এমন ভাবে তৈরী যে দেখলে প্রাচীন আমলের দুর্গদ্বার বলে ভ্রম হয়। তারপর একটা দরজা, তারপর আর একটা—সর্বশেষে মন্দির। মন্দিরে প্রবেশ করে বহিরাঙ্গণের প্রাচীরের ওপরকার একটা চবুতারায় আমরা বসলাম। নীচেই বা ধারে কিন্সী হ্রদ, পূর্বে পূর্ণচন্দ্র উঠচে, চারিধারে থৈথৈ করচে বিরাট space, পশ্চিম আকাশ এখনও একটু রঙীন । মন্দিরে আরতির সময়ে এখানে নহবৎ বাজে, এক ছোকরা বাইরে পাচিল ঠেস দিয়ে বসে সানাই বাজাতে শুরু করলে। আমি একটা সিগারেট ধরলাম। একটু পরে জ্যোৎস্না আরও ফুটল। আমাদের আর উঠতে ইচ্ছে করে না, প্রমোদবাবু তে শুয়েই পড়েচেন। দূরে পাহাড়ের নীচে আম্বারা গ্রামের পুকুরটাতে জ্যোৎস্না পড়ে চিক্‌ চিক্‌ করচে। মন্দির দেখতে গেলাম। খুব ভারী ভারী গড়নের পাথরের চৌকাঠ, দরজার ফ্ৰেম—সেকেলে ভারী দরজা,পেতলের পাত দিয়ে মোড় মোটা গুল বসানো। মন্দিরের দুপাশে ছোট ছোট ঘর, পরিচারক ও পুজারীরা বাস করে। তাদের ছেলেমেয়ের খেলাধুলো করচে, মেয়ের রান্নাবাড়া করচে। রামসীতার মন্দিরের দরজার পাশে অনেকগুলি সেকেলে বন্দুক ও তলোয়ার আছে। একজনকে বললুম—এত বন্দুক কার? সে বললে—ভোস্লে সরকারকা । ১৭৮৩ সালে রঘুজী ভোস্লা এই বর্তমান মন্দির তৈরী করেন। আম্বারা সরোবরের পাশে ভোস্লাদের বিশ্রামাবাসের ধ্বংসাবশেষ আছে, আসবার সময় দেখে এসেচি। মন্দিরের পিছনের একটা চবুড়ারার দাড়িয়ে উঠে নীচে রামটেক্‌ গ্রামের দৃপ্ত দেখলাম—বড় মুনার দেখায় । রামটেক্‌ ঠিক গ্র নয়, একটা ছোট গোছের টাউন। মন্দির প্রদক্ষিণের পর পাহাড় ও জঙ্গলের পথে আমরা নেমে এলাম। জ্যোৎস্নার আলোছায়ায় বনময় সান্ত্রদেশ ও পাষাণ বাধানে পথটি কি অদ্ভূত হয়েচে। এখানে বসে কোন ভাল বই পড়বার কি চিন্তা করবার উপযুক্ত স্থান। এর চারিধারেই অপ্রত্যাশিত সৌন্দর্যময় গলিখুঁজি,