পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 বিভূতি-রচনাবলী পর্বত উঠেচে এই ফুলের ঝাড়। রাঙা রোদ ও রাঙা স্বৰ্ষান্ত শীতকালের নিজস্ব। এমন অস্তআকাশের শোভা অল্প সময় দেখা যায় না । যুগল বোর্টমের সঙ্গে দেখা ফিরবার পথে—সে বল্পে তার চলচে না, আমি তার G. T. পড়বার ব্যবস্থা করে দিতে পারি কিনা। কাল আবার ক্যাম্প টুলটা নিয়ে কুঠার মাঠের নিভৃত বনঝোপের ধারে গিয়ে বললুম। ধুরকুল কি অপূর্ব শোভাতেই ফুটেচে। পাখী এত ভালবাসি কিন্তু কাক ছাড়া কলকাতাতে আর কোনো পাখী নেই—এখানে কত কি অজস্র পার্থীর কলকাকলি, গাছপালা বন ঝোপের কি সীমারেখা, যেন নৃত্যশীল নটরাজ, ওপারের কাশচরে শিমুলগাছটা দেখা যাচ্চে, নীলাকাশে রৌদ্র ঝলমল করচে। একটা বাব লাগাছের ফাক দিয়ে চাইলে কোন অজানা দেশের কথা মনে আনে—শীতের অপরাহ্লে বাংলার এই নিভৃত পল্লীপ্রাস্তে যে কি সৌন্দর্য ভরে থাকে, চোখে না দেখলে সে বোধহয় নিজেই বিশ্বাস করতুম না। আর দেখলাম এক জায়গায় বলে থাকলে অনেক বেশী আনন্দ পাওয়া যায়। ভাল করে সে জায়গায় রস অনেক বেশী পাওয়া বায়—কোথায় লাগে গালুডি, কোথায় লাগে কাশ্মীর, কোথায় লাগে ইটালি—আমার মনে কতটুকু আনন্দ ও চিন্তা সে জাগাতে পারে এই যদি প্রাকৃতিক দৃশ্বের উৎকর্ষের পরিমাপক হয় —ণ্ডবে আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি ইছামতী তীরের এই নিভৃত বনঝোপ, ধুরফুল-ফোটা মাঠের, রাঙা রোদমাথা শিমুলগাছের, বনপাখীর এই কলকাকলির অপরূপ সৌন্দর্যের তুলন। নেই। যে পরিদৃগুমান আকাশের এক-তৃতীয়াংশে দেড়লক্ষ Super Galaxy আছে এখানে বলে বসে ভেবে দেখলুম—সে সব বড় বিশ্বের মধ্যে কি আছে না আছে জানিনে—তবে qetta și attē, ciottas sfệoittg:HTM NIR ER I What is in microcosm is also in macrocosm—সে সব দার্শনিক আলোচনা এখন থাকুক, বর্তমানে এই সুবৃহৎ বিশ্বের এককোণে ধুৱফুল-ফোটা বনঝোপের পাশে ক্যাম্পটুলটা পেতে বসে একটু আনন্দ পাচ্চি পাই । অনেক বেলা গেলে কুঠার মাঠে বেড়াতে গেলাম। একটু আগে যেতাম, খুকু বসে ছিল, বল্পে, একটু দেরি করুন, আরও বেলাযাক্। খুব জোয় পায়ে হেঁটে পৌছে গেলাম বেলেডাঙ্গার সেকুরার দোকানে—মধ্যে এই ধুৱকুল-ফোট বিশাল মাঠটা যেন এক দৌড়ে পার হয়ে গেলাম, তারপর ননী সেক্রার কত গল্প শুনলাম বসে বসে। তার ন’টা গরু ছিল, আর বছর ফাগুন মাসে একে একে সব কটা মরে গেল গাল-গলা ফুলে। দোকানের সামনে একজন লোক বসে হাল পোড়াচ্চে আর অভ্যস্ত খেলো ও বাজে সিগারেট টানচে । আমি বল্লাম, ও খেয়ে না, ওতে শরীর খারাপ হয়। বয়ে, আমি খাইনে বাৰু,এক পয়সায় সে দিন হাটে কিনলাম ছটাতাই এক একটা খাচ্চি। সন্ধ্যার অন্ধকার ঘন হয়েচে–কুঠির মাঠে মুড়ি জঙ্গলের পথটা অন্ধকার হয়ে গিয়েচে, পখ দেখা যায় না। নদীর ধারে এসে দাডালাম আমাদের ঘাটে—ওপারে একটা নক্ষত্র উঠেচে— লেটার দিকে চেয়ে কত কথা ক্ষে মনে পড়ল। ঐ super galaxy-দের কথা—বিরাট