পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃণাস্কুর sts ২৪৭ আমার প্রতিদিনের অভ্যাস। আজ আকাশ কি অদ্ভুত ধরণের নীল! কুঠার সেই দেবদারু গাছটা, কানাই ডোঙ্গার গাছ, শিরীষ, ভিত্তিরাজ কি সুন্দর যে দেখাচ্চে নীল আকাশের পটভূমিতে মাঝে মাঝে দু একটা চিল উড়চে বহুদূরের নীল আকাশের পথে! এসব ছবি মনে করে রাখবার জিনিস। কি আনন্দ দেয়, কত অনচুভূত ভাব ও অহঙ্কৃতির সঙ্গে পরিচিত করে এরা। প্রকৃতির একটা বৈশিষ্ট্য এই যে, নির্জন স্থানে প্রকৃতির এই রূপ মনে নতুন ধরণের অনুভূতি ও চিন্ত এনে দেয়। এ আমি জীবনে কতবার দেখলামতার প্রমাণ পাই প্রতি সন্ধ্যায় আজকাল কুঠার মাঠ থেকে ফিরবার পথে, নিভৃত সন্ধ্যায় আমাদের ঘাটে দাড়িয়ে ওপরের চরের আকাশে প্রথম-ওঠা দু’চারটা নক্ষত্রের দিকে যখন চেয়ে থাকি তখনই বুঝতে পারি। যে দেবলোকের সংবাদ তথন আমার মনের নিভৃত করে ঐ রিগেল বা অন্ত অজানা নক্ষত্র বহন করে আনে সে গহন গভীর উদাত্ত বাণী অমৃতের মত মনকে বৈচিত্র্যময় করে, সাধারণ পৃথিবীরকত উধ্বলোকের আয়তনে মনকে উঠিয়ে নিয়ে যায় একমুহূতে। এ একটা বড় সত্য। বড় বড় সাধক, কবি, দার্শনিক, মুরস্রষ্টা, চিত্রকর, শিল্পী—যাদের চিন্তা আর ভাব নিয়ে কারবার, এ সত্যটা তাদের অজ্ঞান্ত নয়। এজন্তেই quisa Koso, “Every literary man should embrace Solitudo as a bride." এসম্বন্ধে বিখ্যাত ঔপন্যাসিক হিউ ওয়ালপোল গত জুলাই মাসের Adolphi কাগজে বড় চমৎকার একটা প্রবন্ধ লিখেছেন। নির্বাসিত দাস্তে বলেছিলেন, “কি গ্রাহ করি আমি, BBBB BBB BBB BBB BBB BB BBB BB BBB BBBBBBS BBB BBB একৃহার্ট কখনো লোকের ভিড়ে বা শহরের মধ্যে থাকতে ভালবাসতেন ন—তার "Our Heart's Brotherhood" গাথাগুলির মধ্যে অনেকবার উল্লেখ আছে এ কথার। ওকথা স্বাক্। আমি নিজের একটা ভুল আবিষ্কার করেচি, যাকে এতদিন বলে এসেচি ধুরকুল, তার আসল নাম হোল এড়াঞ্চির ফুল। ধুরফুল লতার ফুল বিলবিলেতে ছিল, সাদা বড় বড় ফুল ফুটত—পুটি দিদি বলছিল। আজকাল আর দেখা যায় না। তামলতা, ভোমরালভার ফুলও এসময় ফোটে। আগে নাকি আমাদের পাড়ার ঘাটে খামলতার ফুল ফুটে বৈকালের বাতাসকে মধুর অলস গন্ধে ভরিয়ে দিত—আজকাল সে লতাও নেই, সে ফুলও নেই। কাল সন্ধ্যার পরে অন্ধকারে কুঠার মাঠে বেড়াতে বেড়াতে রঙীন অস্ত-আকাশের দিকে চেয়ে অন্ধকার আকাশের পটভূমিতে কত বিচিত্র ধরণের গাছপালার সীমারেখা দেখলাম— এদের এখানে যা রূপ, তা এক যদি ভারতবর্ষের মধ্যে মালাবার উপকূলে এবং আসাম ও হিমালয়ের নিম্ন অঞ্চলের অধিত্যকায় থাকে—আর কোথাও সম্ভব বলে মনে হয় না । ছোট এড়াঞ্চির ফুল সকলের ওপরে টেঙ্কা দিয়েচে। কাল যখন মাঠের মধ্যে দিয়ে বেলেডাঙ্গার গোয়ালপাড়ায় গেলাম-উচুনিচু মাটি ও ডাঙ পাশে রেখে, ফুল ফোটা বড় বড় বনৰোপের নীচে দিয়ে—কত কি পাখী বেড়াচ্চে ঝোপের নীচেশুকৃনে পাতার রাশির ওপরে। কাটাওয়াল সেই সবুজ লতাটায় খোকা খোক ফুল ফুটেচে–খুকু বলে, বনতার -সামটি