পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հde বিভূতি-রচনাবলী বাড়ির পাঠশালা Examine করতে গেলাম। বেষ্টিম বুড়ীর বাড়ির সামনে বড় বটগাছের তলায় যুগল বসে কথা বলচে একজন বৃদ্ধ মুসলমানের সঙ্গে। বৃদ্ধ বলচে, ‘আমাদের দিন পার হয়ে গিয়েচে, বেলা চারটে, এখন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পথ দেখাও, পথ দেখাও।” কথাটা আমার বড় ভাল লাগল। দুপুরে জাটির ধারে মাঠে যেমন রোজ বেড়াতে যাই, আজিও গেলাম। ছুপুরের আকাশ যেমন নীল, অপরূপ নীল—এমন কিন্তু অস্ত কোনো সময়ে পাইনি। ছুপুরের পরে খুকু এসে অনেকক্ষণ ছিল। তাই স্থপুরে কিছু লেখা হয়ে উঠল না। বিকেলে আমি গিয়ে কুঠার মাঠে একটা নিভৃত স্থানে গায়ের আলোয়ানখানা ঘাসের ওপর বিছিয়ে তার ওপর চুপ করে বসে রইলাম। এতে যে আমি কি আনন্দ পাই । একটা অমৃভূতি হোল আজ, ঠিক সেই সময় রাঙা রোদ ভরা আকাশের নিচের গাছপালায় আঁকা-বাকা শীর্ষদেশ লক্ষ্য করতে করতে । সকালে উঠে নৌকাতে আবার বনগায়ে যাচ্চি। জলের ধারে ধীরে মাছরাঙা পার্থী বলে আছে নলবনে। কাটাকুমুরে লতায় খোকা খোকা সুগন্ধ ফুল ধরচে। তবে ফুলের শোভা নেই, গন্ধই যা আছে। বড়দিনের ছুটি শেষ হোল। আবার কলকাতায় ফিরতে হবে। কে জানে, কবে আবার দেশে ফিরতে পারব।