পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেীরাফুল २ै>> পা অার একটু হলেই ফদে ? তাঁর আরও মনে হোল, বড়বাৰু এ-খবর পূর্বেই জানতেন কিন্তু প্রচার হতে না দিয়ে গোপন রেখেছিলেন । তারপর কখন গার্ড হুইসিল দিয়েছে, কথন গাড়ি চলেছে এ-সব তার খেয়াল নেই।” কৃষ্ণচুড়া গাছের সামনে আসতে সে চেয়ে দেখলে প্লাটফরমের পূর্বদিকে তারের বেড়ার ওপরকার খিলানবসানো পাকা ধাপ ডিঙিয়ে আগে আগে মালপত্র হাতে ভজুয়া পয়েন্টসম্যান, পেছনে প্রৌঢ়টি ও সর্বশেষে নম্রমুখী রেণু, বডবাবুর কোয়ার্টারের দিকে চলেছে।“ হঠাৎ মুরেশের মনে দূর-সম্পর্কিত সহানুভূতিশূন্ত এক আত্মীয়ের দ্বারস্থ এই পিতৃমাতৃহীন নিরপরাধ অভাগিনী বালিকার ছবিটি সম্পূর্ণ অন্তভাবে ফিরে এল। কার অপরাধে এই প্রস্ফুট-মুকুল-প্রথম-বসন্তের দিনে তার জীবনের আনন্দ-দীপটি নির্বাপিত হয়ে গেল চিরদিনের মত ?. দ্রুতগামী ট্রেনের জানাল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে সে আর একবার চেয়ে দেখলে—রক্ষিণগণের মেয়ে ততক্ষণে বডবাবুর সদর দরজায় পৌছে দাড়িয়ে আছে, দরজা তখনও খোলা হয়নি, বোধহয় ভজুয়া কাউকে ডাকতে গিয়ে থাকবে। পদবৃদ্ধিজনিত কিছুক্ষণ পূর্বের সে আনন্দ মুরেশ আর মনের মধ্যে খুঁজে পেল না । হাসি স্টেশনের ওয়েটিং-রুমের ভেতরে বাইরে কোথাও অক্ষ লোক ছিল না, বেয়ারাটাকেও ডেকে ডেকে পাওয়া গেল না। অগত্য চায়ের আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে আমরা কয় বন্ধুতে বেশ করে র্যাগ টেনে নিয়ে ঈজি-চেয়ারে শুয়ে পড়লাম। মাঘের শেষ যদিও, শীত কিন্তু বাংলা দেশের পৌষ মাসের চেয়েও বেশী । রমেন বললে —ওহে, তোমরা যা বোঝে করে, আমি কিন্তু চা নইলে রাত কাটাতে পারবে না। বলে তোমরা, একটা ব্যবস্থা দেখি--- দোর খোলার সঙ্গে সঙ্গে এক ঝলক তীক্ষ শীতল পশ্চিমে বাতাস তীরের মত ঘরে ঢুকতেই আমরা ইঁ-ই করে উঠলাম--রমেন ততক্ষণে চলে গিয়েছে। খোলা দোরটা বন্ধ করে’ দিতে গিয়ে চেয়ে দেখি বাইরে বেজায় কুয়াসা। পৃথ্বীশ আমাদের দলের দার্শনিক। এতক্ষণ সে র্যাগ দিয়ে আপাদমস্তক আবৃত করে’ শুয়েছিল, হঠাৎ মুখ খুলে গভীরভাবে বললে— দেখ, আমার কিন্তু goi Uncanny Sensation oto, Con & Co. 7 श्रांभि व्रजलांश-कि उांप्दब्र Uncanny ? फूउ ऐंठ ? সে র্যাগ খুলে ফেলে ইজি-চেয়ারে উঠে বসলো। চারিধারে চেয়ে দেখে বললে—তা ঠিক জানিনে, কিন্তু কেমন যেন. আমরা সকলেই ততক্ষণে পুনরায় খাড়া হয়ে উঠে বসেছি। সলিল বললে—বিচিত্র ময়।