পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৌরীফুল లి}(t শ্রামরায় ঠাকুর যেন সেখানে দাড়াইয়া মুছ হাসিমুখে তাহার দিক চাহিয়া আছেন। ছেলেবেল হইতে কতবার সে খামরায়কে দেখিয়াছে, কতবার বৈকালে উঠানের বেলফুলের গাছ হইতে বেলফুল তুলিয়া মালা গাঁথিয় বৈকালীতে ঠাকুরের গলায় দিয়াছে। খামরায়ের মূর্তি তাহার অপরিচিত নয়—তেমনি সুন্দর, মুঠাম, সুবেশ কমনীয় তরুণ দেবমূর্তি . বিশ্বাসে মামুষের রোগ সারে, হয়তো বধূটর তাহাই ঘটিয়াছিল। হয়তো সবটাই তার মনের কল্পনা । রাঘব চক্রবর্তী যে বিরাটকায় পুরুষ দেখিয়াছিলেন সে-ও তাহার অনিদ্রাপ্রস্থত অনুতাপবিদ্ধ মনের স্বষ্টিমাত্র হয়তো—কারণ খুঁটির মধ্যে দেবতা সেই সেই রূপেই তাহার সম্মুখে দেখা দিয়াছিলেন, যার পক্ষে যে রূপের কল্পনা স্বাভাবিক । সত্য মিথ্যা জানি না–কিন্তু খুটি দেবতা সেই হইতে এই অঞ্চলে প্রসিদ্ধ হইয়া আছেন। গ্রহের ফের “গত ২২শে অগ্রহায়ণ শনিবার কলিকাতা ইউনিভারসিটি ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক yনলিনাক্ষ রায়চৌধুরীর দ্বাদশ এiদ্ধবাসীর স্মৃতি-সভার অধিবেশন হইয়াছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচান্সেলর মহোদয় সভাপতির আসন অলঙ্কত করিয়াছিলেন । গণ্যমান্য অনেক বক্তা উপস্থিত ছিলেন, তন্মধ্যে ব্যারিস্টার শ্রীযুক্ত মুশীলচন্দ্র ঘোষ মহাশয়ের বক্তৃতা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী হইয়াছিল। হলটি শ্রোতৃবৃন্দে পরিপূর্ণ হইয়। গিয়াছিল। তন্মধ্যে কলেজের ছাত্র সংখ্যাই অধিক। অধ্যাপক রায়চৌধুরী মহাশয় বাঙ্গালী জাতির গৌরব ছিলেন ; কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় এই যে, অদ্য স্বাদশ বৎসরের মধ্যে র্তাহার স্মৃতিরক্ষার কোনো স্থায়ী বন্দোবস্ত হইয়া উঠিল না । সভার উদ্যোগিগণের উৎসাহ প্রশংসার বিষয় সন্দেহ নাই, কিন্তু তাহারা স্বৰ্গত অধ্যাপক-মহাশয়ের স্মৃতিরক্ষার কোনো স্থায়ী ব্যবস্থার উদ্যোগ করিলে দেশবাসীর সমধিক কৃতজ্ঞতাভাজন হইবেন ৷”— —দৈনিক বসুমতী, ২৩শে অগ্রস্থায়ণ । অধ্যাপক ৮নলিনাক্ষবাবুর স্থতিরক্ষার ব্যবস্থা হয়, বড় আননের কথা সন্দেহ নাই। কিন্তু সকালে উঠে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিয়ে বসুমতীর প্যারাটা পড়তে পড়তে আর একজন লোকের কথা মনে পড়ে গেল। নলিনাক্ষবাবুর মত তিনি ভাগ্যবান পুরুষ ছিলেন না, বর্তমান কালের তরুণদলের অনেকেই তাকে দেখেন নি, কারণ আজ আঠাশ বছর হোল তার মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু যারা দেখে থাকবেন তারা সেই পঙ্ককেশ, সৌম্যদর্শন বৃদ্ধের চেহারা এখনও ভুলে যান নি নিশ্চয়ই । 纖 আমি বলছি স্বৰ্গত রাজচন্দ্র সেন মহাশয়ের কথা । নলিনাক্ষবাবু ও রাজচন্ত্রবাবু একই কলেজে পড়াশুনা করেছিলেন। নলিনাক্ষবাৰু প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে সরকারী বৃত্তি নিয়ে কেত্ত্বি জে যান এবং সেখান থেকে ফিরে এসে