পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘HIV বিভূতি-রচনাবলী যখন ওই দুটি ইন্দ্রির বহুদিন বুভূক্ষু, তখন যে কোনো মুক্ত স্থান, সামান্ত একটা বঁাশঝাড়, একটি হয়তো ধানের মরাইওয়ালা গৃহস্থবাড়ি, আঁক-বাকী গ্রাম্য নদী, কোথাও একটা বনের পাখীর ডাক—মধুর, স্বপ্নময় হয়ে ওঠে। পয়সা যাদের আছে, খুব ঘুরে বেড়াতে পারে তারা—ভালো কথাই, কিন্তু Blase হবার ভয়ও যথেষ্ট। তখন ভীম নাগের সন্দেশও মুখে রোচে না । পরবর্তী কালে জীবনে অনেক বেড়িয়েচি, এখনও বেড়াই—পাকা Blase টাইপ অনেক দেখেচি, যথাস্থানে তাদের গল্প করবো। সেদিনকার প্রভাতের নবীন আলোর মুখ চিনে Blase কারা তা ভাববার অবকাশ মাত্র পাইনি—সোজা চলেছিলুম দুই বন্ধুতে পথ বেয়ে ঘর থেকে বার হবার আনন্দে বিভোর হয়ে। হঠাৎ একটা গ্রামের পথে উপস্থিত হয়ে গিয়েটি কোন সময়, খেয়াল করিনি—সে পথের একদিকে খুব উচু লম্বা একটা পাচিল। একজন লোক পথ দিয়ে যাচ্ছিল, তাকে জিগ্যেস করতে সে বললে, ওটা চাদমারির পাচিল । —কোথায় চাদমারি ? —পাশেই মশাই। সোলজারের বন্দুক প্র্যাকটিস– —বুঝেচি–তা এখন করচে না তো ? —করলেই বা কি ! পাচিল তো দিয়ে রেখেচে । —সামূনে ওটা কি গা ? —নিম্তে। কিন্তু নিম্তে গ্রামে ঢুকবার পূর্বে একটা বাশবাগান দেখে বড় ভালো লাগলো। খুব বড় বঁাশবন, অজস্ৰ শুকনো বাশপাত ছড়িয়ে আছে—পা দিয়ে মচ কে যাবার সময় কেমন মুনার শব্দ হয়, শুকনো পায়ে-দল বাশপাতার গন্ধ বার হয়, মাথার উপর পাখী ডাকে, স্বর্য আলোছায়ার জাল বোনে বঁাশগাছের ডালে, পাতায়, তলাকার মাটির ওপর। সেই বাশবনে এক রকমের গাছ দেখলুম। শুধুই একটা করে লম্বা ডাটা। তার আগার একটা আফোটা বড় কুঁড়ির মতো ব্যাপারের মধ্যে অনেকগুলো ছোট মটরের মতো দান । গাছের গায়ে হাত দিলে হাত চুলকোর। কি ভালোই লেগেছিল সেই গাছগুলো সেদিন। বাশবনের ছায়ায় বনকচু-জাতীয় উদ্ভিদ যেন অমৃত্তফল প্রসব করেচে। DD DD DD BBBSBBB BBBS BBDD BB DD BBS DDD DDDS বসলুম। বস্তফুল ও অন্তান্ত লতাপাতার ঝোপ মাঠের ধারে সর্বত্র। ঝোপের মাথার মাথায় লতাপাতায় আলোকলতার জাল। দুরে একটু পুরানো কোঠাবাড়ি দেখা গেল। একটা বাড়ির ছাদে একটি পল্লীবধু চুল শুকোতে বসেচে। গ্রামের ছেলেমেয়ের সামনের মাঠে হাডুডু খেলচে । মাঠ থেকে উঠে নিতে গ্রামের শেষপ্রান্তে গিয়ে পৌঁছলাম আমরা। সেখানে মুচি