পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক ●ፃ¢ আবার সেই বনানী, আগের দিনের সেই খড়ের ঘরে রাত্রিযাপন। মডুতে ফিরে মিঃ মৌংপের সঙ্গে দেখা করতে গেলুম সন্ধাবেলা। ওরা সকলেই খুব খুনী হল আমার দেখে । মেয়ে-চুটি রোজ বৰ্মিজ গান গাইতেন, বড় মেয়েটির গলা বেশ মুরেলা বলে মনে হত আমার কাছে, যদিও গানের অর্ণ এক বর্ণও বুঝতুম না। এদিন ওঁরা দুজনেই অনেকগুলি গান গাইলেন, বনের অনেক গল্প শুনলেন, শেষে রাত্রে তাদের ওখানে খেতে বললেন । ব্ৰহ্মদেশীয় পরিবারে একটি জিনিস লক্ষ্য করেচি, যাকে তারা একবার বন্ধুভাবে পরিবারের মধ্যে গ্রহণ করেচে, তার সঙ্গে ওদের ব্যবহার নিঃসঙ্কোচ ও উদার আত্মীয়তাতে ভরা। ব্ৰহ্মদেশীয় খাদ্য কখনও খাইনি, আমার ভয় ছিল হয়তে এমন সব খাবার জিনিস টেবিলে আসবে যা মুখে তোলা আমার পক্ষে শক্ত হয়ে উঠবে। কিন্তু ওঁদের ব্যবহার এত সুন্দর—এমন কোনো আহার্য র্তারা আমার সামনে স্থাপিত করলেন না, যা আমার অপরিচিত। মিষ্টি পোলাও, মাংস, মাছ, মণ্ডুর বাঙালী ময়রার দোকানের সন্দেশ ও রসগোল্লা। আমি বড় মেয়েটিকে বললুম—আপনাদের বাড়ির রান্না ভারি চমৎকার—বাংলাদেশের রান্নার মতই ধরন ভো অবিকল । বড় মেয়ে মৌংকেট হেসে বললে, এ যা খেলেন, আমাদের দেশের খাবার কিন্তু এ নয় । হয়তো সে আপনি খেতে পারতেন না। —তাই কেন খাওয়ালেন না ? —আপনার মুখে ভালো লাগতো না। আপনি মুটকি মাছ থেরেচেন কখনো ? —খাইনি কখনো । তবে একবার খেয়ে না হয় দেখতুম। আর নাপ্লি ? সেটা বাদ গেল কেন ? —নাগ্নি সব সময় বা সকল ভোজে খায় না। ও একধরনের চাটনি হিসেবেই খাওয়া হয়। নাপ্পি টেবিলে দিলে আপনি উঠে পালাতেন । —বাঙালী-রান্না আপনারা জানেন ? —আমাদের রান্না একটাও নয়। বাঙালী বাবুর্চি দিয়ে সব রাধানে। আমরা পোলাগুট রাখতে পারি। মডু বাংলা দেশের কাছে, অনেক বাঙালী এখানে থাকেন, আমাদের খাওয়া দাওয়া অনেকটা বাঙালী ধরনের হয়ে গিয়েচে । হাসিগল্পের মধ্যে দিয়ে খাওয়া শেষ হল। পরদিন আমি ওঁদের একটি বাঙালী হোটেলে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ালুম। ওঁদের সঙ্গে এত আলাপ হয়ে গিয়েছিল এ-কদিনে যে, সাতদিন পরে যখন মডু ছেড়ে চলে আসি তখন সত্যিই বড় কষ্ট হয়েছিল ওঁদের ছেড়ে আসতে। আসবার সময় মিঃ মীেপে মেরেন্থটিকে নিয়ে জাহাজঘাটে আমার বিদায় দিতে এলেন। মৌকেট একটা মুদৃশ্ব চন্দনকাঠের ছোট বাঙ্গ ভর্তি সমূত্রের কড়ি, ৰিমুক আমার উপহার দিলেন। দুঃখের বিষয় এই বাস্ত্রটি সেইবারেই झांक व्षांगदांब्र जषब dप्लेरन cर्षांब्रां बांब्र ।