পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অভিযাত্রিক wరిసి(t —এখন আর সময় নেই, সেখান থেকে ফিরতে রাত হয়ে যাবে—তুমি আমায় পৌঁছে দিও শহরে, বকশিশ দেবেী— লোকটা রাজি হল না। তার অনেক কাজ আছে, সে যেতে পারবে না । অতিথিশালায় ফিরে দেখি আমার সঙ্গী টেবিলে আলো জেলে কি লেখাপড় করচেন। এই ভদ্রলোকটিকে আমার কেমন যেন রহস্যময় বলে মনে হত—কি কাজ করে, কি ভাবে, কি ওর জীবন, এসব জানতে আমার খুব আগ্রহ ছিল মনে মনে। কিন্তু কোনো কথা সে সব নিয়ে জিজ্ঞেস করা ভদ্রতাসঙ্গত হবে না বলে তার নিজের সম্বন্ধে কোনো প্রশ্ন ইতিপূর্বে করিনি । আজ হঠাৎ কি জানি কেন বললুম—কি লিখচেন ? ভদ্রলোক আমার দিকে চেয়ে হেসে বললেন--একটা রিপোর্ট লিখচি– —কিসের রিপোট ? —আমি পাহাড়ে পাহাড়ে বেড়িয়ে দেখলুম ত্রিপুরার পাহাড় অঞ্চলে খনিজ সম্পদ যথেষ্ট আছে। কিন্তু এ নিয়ে কেউ কখনো মাথা ঘামায়নি। মহারাঞ্জের দৃষ্টি এদিকে আকৃষ্ট করবার চেষ্টা করচি। এমন কি, আমার মনে হয় পেট্রোলিয়ামের সন্ধানও এখানে পাওয়া কঠিন হবে না। সেই সব সম্বন্ধে একটা রিপোর্ট লিখচি। বম্বন আপনাকে বুঝিয়ে দিচ্চি এখানে পেট্রেলিয়ামের খনি থাকা অসম্ভব নয় কেন । তারপর ভদ্রলোক আমাকে স্বাধীন ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলের ভূ-তত্ত্ব বিস্তৃতভাবে বোঝাতে শুরু করলেন। অনেক কিছু বললেন, আমি কিছু বুঝলাম, বেশির ভাগই বুঝলাম না। কেমন করে পৃথিবীর স্তর দুমড়ে বেঁকে উৎসের স্বষ্টি করে, পেট্রোলিয়াম আর কয়লা একই পর্যায়ভুক্ত জিনিস, আরও সব কত কি। ভদ্রলোকের কথাবার্তা আমার বড় ভালো লাগলো। আমি তার বিষয়ে কখনও কোনো প্রশ্ন করিনি, কেবল পূর্বের প্রশ্নটি ছাড়া। তাকে দেখে আমার মনে হল লোকটি বৈষরিক নয়, অর্থে পার্জন এর ধাতে নেই, পয়লা নম্বরের ভবঘুরে মানুষ। সে রাত্রে তার কথাবার্তা শুনে আমার সে ধারণা আরও দৃঢ় হল। আমার তিনি বড়লোক হবার অনেক রকম ক্ষী বাংলে দিলেন। সামান্ত মাইনের চাকরী করে কোনো লাভ নেই। এই সব অঞ্চলের পাহাড়ে কয়লা আছে, পেট্রোলিয়াম আছে, সোনা আছে, জঙ্গলের কাঠ কেটে চালান দিতে পারলে দু বৎসরে ফেপে ওঠা যায়। তিনি মহারাজকে ভজিয়ে সত্বর একটা মাইনিং সিদৃডিকেট গড়ে তুলবেন, এই আগরতলাতেই তার হেড আপিস হবে, কোনো বড় বিলিতি কোম্পানীর সঙ্গে তিনি চিঠি চালাচালি করবেন এ নিয়ে—ইত্যাদি অনেক কথা । © আমি বললুম-আপনি আর কতদিন আছেন এখানে । -ठ क् िदण दांब ? कांज cनव न श्रण cउ वांकिन । भक प्रांप्नब कम नब्र, छ् মালও হতে পারে ।