পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89९ বিভূতি-রচনাবলী —প্রত্যেক ইসথেটিক श्रांनन भांप्खहे sensuous, उरब ७ श्रांनन স্বল্পত্তর শ্রেণীর ; spiritual আনন্দের সগোত্র না হলেও নিকটতম আত্মীয় বটে। তবে এর প্রকৃতি চিরে চিরে কেটে কেটে দেখাতে বোলো না। আমার মনে হয় কেউই তা করতে পারবে না। শাস্ত্রে চরম আনন্দকে বলেচে, ব্ৰহ্মাম্বাদের সমতুল্য—কে ব্রহ্মকে আস্বাদ করেচে যে বিচার করবে ? আননের analysis ওভাবে হয় না। —আমি একটা কবিতা পড়ে এর সমানই আনন্দ পাই যদি বলি ? —এ তর্ক তোমার সঙ্গে করবো না, কারণ আমার ধাত অন্যরকম। আমার মনে হয় বদ্ধ ঘরে বসে হাজার কবিতা পড়লেও সে আননা তুমি কিছুতেই পাবে না। এখানে আমার মনে পড়লো সদ্বীপের তালীবন-খাম উপকূল, আর আওরঙ্গজেবপুরের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের সেই বনভূমি। আমার বন্ধু প্রতিবাদ করে বললেন—এ তোমার গা-জুরি কথা হ’ল। —শোনে, একটা কথা আছে। দু ধরনের লোকের মধ্যে—যারা প্রাকৃতিক দৃপ্ত দেখতে ভালোবাসে আর যারা ভালোবাসে না—এক দলের চোখ আছে, অন্ত দলের নেই । চক্ষুষ্মান ও অন্ধ দু দলে তুলনা হয় না, এখানে বিচার হবে চক্ষুষ্মান লোক বন্ধ ঘরে কবিতা পড়ে ষে আনন্দ পায়, সেই ধরনের আনন্ম সে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে পায় কি না। সুতরাং ভেবে দেখ এ নিয়ে তর্ক হতে পারে কি ? সম্মুখে মেঘনা নদীর বুকে জ্যোৎস্নারাশি এক মায়াপুরীর স্বষ্টি করেচে। আমার মনে হল শুধু এই দৃপ্ত প্রতিদিন দেখবার স্বযোগ পাবে বলে স্কুলমাস্টারি নিয়ে এখানে থেকে যেতে রাজি আছি। এক বছর ধরে এই দৃপ্ত রোজ দেখলে মনের আয়ু বেড়ে যায়। আমার বন্ধু বললেন—আমার আরও ভালো লাগে না এতদূরে আছি বলে, দেশের মধ্যে হলে বোধহয় ভালো লাগতো । —আমার মনে হয় এ তোমার ভুল। দূরে থাকা একটা advantage, প্রাকৃতিক দৃপ্ত উপভোগ করবার পক্ষে। -कि ब्रकश ? —দেশ থেকে দূরে যত যাবে, তত landscape-এর প্রকৃতি তোমার কাছে রোমাটিক হয়ে উঠবে। ভ্রমণকারী ও explorerরা এটা ভালো বুঝতে পারে। বরফ ইলেণ্ডেও জমে শীতকালে, তবে নর্থ পোলের বরফ মনে অন্য রকম ভাব জাগায়। একই বাশবন দেশের খালের ধারে দেখচো অথচ ইরাবতীর পাহাড়ী gorge-এর ধারে সেই একই বঁাশবন দেখোবুঝতে পারবে কি ভীষণ তক্ষও। এবারকার ভ্রমণে আমি ও ভালো বুঝতে পেরেচি। কতবার দূরদেশের পাহাড়ের ওপর, সমুদ্রের ধারে, কিংবা বনের ছায়ায় বসে দেশের কথা ভেবে দেখচি–অপূর্ব চিন্তা জাগার মনে। সঙ্গে সঙ্গে চারিপাশের প্রকৃতি কি অপূর্ব রূপই না ধরে