পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&e বিভূতি-রচনাবলী জড়ির বাধা অগ্রাহ করে। ঝরনা পার হয়ে আবার একটা চড়াইয়ের পথ, খয়ের ও বহেড়ার জঙ্গলও পূর্ববৎ নিবিড়। সম্বর হরিণ নাকি এই জঙ্গলে খুব বেশি, তারা মানুষ দেখলে তেড়ে এসে শিঙ দিয়ে গুতিয়ে মেরে ফেলে দেয়। এ পর্যন্ত দু-একটা খেকশিয়াল ছাড়া অল্প কোন জানোয়ারের টিকি দেখা যায়নি যদিও ; এবার কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে এল, এবার সাবধান হয়ে 5णांहे शद्रकांद्र । চড়াইএর জঙ্গলে অনেকট চলে এলুম। সন্ধ্যার অন্ধকার বেশ ভালো ভাবেই নামলো, আমরা কি করবো ভাবচি এমন সময়ে একটা কি অদ্ভুত ধরনের শব্দ আমাদের কানে গেল দূর থেকে। দুজনেই দাড়িয়ে রইলুম। বাঘ বা ওই ধরনের কিছু ? অলক্ষণ পরেই বনের নিবিড় অন্তরাল থেকে বার হয়ে এল একটা সাদা কাপড়ের ডুলি। স্বজন ভুলি বইচে,পেছনে জন-তিনেক লোক, ওদের সকলের হাতেই লাঠি ও বর্শা। আমরা ওদের দেখে যতখানি অবাক, ওরাও আমাদের দেখে তার চেয়ে কম অবাক নয় । আমরা বললুম, কোথায় যাবে তোমরা ? আমাদের প্যান্ট-কোট পর, হাট-মাথায় মূর্তি দেখে ওরা বেশ ভয় খেয়ে গিয়েচে বোঝা গেল। বিনীতভাবে তারা বললে, তারা লছমীপুরে যাবে। —ডুলির মধ্যে কি ? —একটি মেয়ে আছেবাবুজী— অম্বিকা উকিল মানুষ, সে এগিয়ে গিয়ে বেশ একটু মুরুবিয়ানার স্বরে বললে, কোথাকার মেয়ে, কি বৃত্তাস্ত, আমরা জানতে চাই। কোথা থেকে আনচো ? *<ng একটি নিরীহ গোছের দেহাতী লোক এগিয়ে এসে আমাদের আভূমি নত হয়ে সে করে বললে, গরিব পরওয়ার, আমার আউরৎ আমার বাড়ি থেকে লছমীপুরে ওর বাপের বাড়ি যাচ্চে, আমি ওর স্বামী, নাম বিঠল ভকৎ হুজুর। আমরা তো অবাক। বিঠল ভকৎ তার স্ত্রীকে নিয়ে এই প্রকাও বনের মধ্যে দিয়ে রাত্রিকালে শ্বশুরবাড়ি চলেচে । আমরা বললুম, বন আর কতটা আছে ? বিঠল ভকৎ বললে, আর এক ক্রোশ, কিন্তু ডানদিক ঘেঁষে যান। বাদিকের পথে চললে এখনও ছ তিন ক্রোশ বন পাবেন। —কোনো ভয়-ভীত আছে এ বনে ? —জানোরার আছে বৈকি। ভালুকের ভর এই সময়টা খুব। —তোমাদের খুব সাহল তো ! এই রাত্রিকালে বনের মধ্যে দিয়ে বউ নিয়ে স্বাচ্চ । —আমাদের এই জঙ্গলের দেশেই বাড়ি বাবুলাহেব, ভয় করলে চলে না। আমাদের সঙ্গে चशं चांकाश् ।