পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अउिंसांब्लिकं 8br} সহজে করতে রাজী হয় না। পয়সা রোজগার করবার বিশেষ বেীক নেই। বিনা আয়াসে যদি আসে তো ভালো, নতুবা কষ্ট করে কে আবার পয়সা উপার্জন করতে যায়! সবগুলি বস্ত গ্রামেই প্রায় এই অবস্থা । কতবার বলে দেখেচি—একবোঝা কাঠ ভেঙে এনে দে না, পয়সা দেবো । ওরা সোজা জবাব দিয়ে বসে—আমাদের দিয়ে হবে না বাৰু, আমরা পারবে না। —পয়সা পাবি, দে না । —কি হবে পয়সা বাৰু। পারবো না আমরা। অথচ পয়সা-কড়ি বিষয়ে এরা যে উদাসীন ও সরল, তা আদৌ নয়। সুবিধা পেলে বিদেশীকে ফাকি দিতে বা ঠকিয়ে জিনিস বিক্রী করতে ওস্তাদ। আসল কথা, খেটে পয়সা রোজগার করা ওদের ধাতে সয় না । বেলা আটটার সময় ঘুম ভেঙে উঠে কানে শালপাতার পিকা বা বিড়ি গুজে, নিকটবর্তী কোনো জলাশয়ের ধারে সারাদিন বসে হয়তো মাছ ধরছে । মেয়েরা বাড়ি থেকে খাবার দিয়ে এল, লোকটি চুপ করে ঠার জলের ধারে অজুন গাছের ছায়ার বসেই আছে। এক জায়গায় এতক্ষণ বসে থাকতেও পারে। দারকেশাতে এ দৃগু কতবার দেখেচি। আর একটা জিনিস, এদের সময়ের জ্ঞান নেই অনেকেরই। —বয়স কত ? —কি জানি বাৰু। —তবুও আন্দাজ ? —বিশ পচাশ হবে। হয়তো উত্তরদাতার বয়েস যাট পেরিয়েচে, তবুও তার কাছে বিশও যা পঞ্চাশও তাই । কতদিন আগে একটা ব্যাপার ঘটেছিল তার সঠিক ধারণা এদের একেবারেই থাকে না, অনেককে জিজ্ঞেস করে দেখেচি। সময়ের মাপজোপ সভাসমাজেই প্রয়োজম, সভ্যতার সংস্পর্শে যারা আসেনি তাদের সময়-সমুদ্রের উর্মিমালা গণনার প্রয়োজন কি ! আমরা দামুত্তি বলে একটা গ্রামে পৌঁছে দুদিন বিশ্রাম করলুম। এখান থেকে রেলওয়ে স্টেশন মাত্ৰ ন-মাইল। অমর-কণ্টকের যাত্রীরা এখন থেকে হেঁটে অমর-কণ্টক চলে যাবে, আমি স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠবে। দামুণ্ডি পৌঁছবার পূর্বে আমরা যে গ্রাম থেকে রওনা হই, তার অধিবাসীরা আমাদের বারণ করেছিল—বাবুসাহেব, ওপথে যাবেন না, বড় বাঘের ভয়, তিন-চারজন মানুষকে বাঘে নিয়েচে, গোরু-বাছুর তো রোজই নেয় বস্তি C屯亨1 আমরা খুব সতর্ক হরে পথে হাটতুম, অথচ এই পথে বন খুব কম, মোক্লম ছড়ানো ডাঙ্গাই প্রায় সবটা, মাঝে মাঝে ছোট ছোট বন-আর পাহাড়। এই ছোট বনের মধ্যেই নাকি বাঘে भाष्ट्रय निप्प्लएझ् ! এই সব বগুগ্রামে বাঘের উৎপাত খুব বেশি। वि. ब्र २-०>