পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○b" বিভূতি-রচনাবলী অপুর মনেৰে জন্যই হউক খুব ক্ষুণ্ঠি ছিল—তাহার দিকে চাহিয়া বলিল—স্ট করে চা पञांद्र थांबांब्र-उिन भिनिटप्ले নির্মলা বিস্মিত হইল, সঙ্গে সঙ্গে অত্যন্ত আনন্দিত হইল। এ রকম তো কখনও হুকুমের স্বরে অপূর্বদা বলে না। সে হাসিমুখে মুখ টিপিয়া বলিল—পারবে না তিন মিনিটে—ঘোড়ায় জিন দিয়ে এলেন কিনা একেবারে । অপু হাসিয়া বলিল—আর তো বেশীদিন না—আর তিনটি মাস তোমাদের জালাবো, তারপর চলে যাচ্চি— নির্মলার মুখ হইতে হাসি মিলাইয়া গেল। বিস্ময়ের মুরে বলিল—কোথায় যাবেন। —তিনি মাস পরেই এগ জামিন—দিয়েই চলে যাবে, কলকাতায় পড়বো পাশ হলে— নির্মলা এতদিন সম্ভবত এটা ভাবিয়া দেখে নাই, বলিল—আর এখানে থাকবেন না ? অপু ঘাড় নাড়িল। খানিকটা খামিয়া কৌতুকের স্বরে বলিল—তুমি তো বাচো, যে খাটুনি—তোমার তো ভাল—ওকি ? বা রে—কি হলো—শোন নির্মলা— হঠাৎ নির্মল উঠিয়া গেল কেন—চোখে কি কথায় তাহার এত জল আসিয়া পড়িল, বুঝিতে না পারিয়া সে মনে মনে অমৃতপ্ত হইল। আপন মনে বলিল—আর ওকে ক্ষ্যাপাবে। না—ভারী পাগল—আহা, ওকে সব সময় খোচা দিই—সোজা খেটেছে ও, যখন পা ভেঙে পড়ে ছিলাম পনেরো দিন ধরে, জানতে দেয় নি যে আমি নিজের বাড়িতে নেই— ইহার মধ্যে আবার একদিন পটু আসিল। ডেপুটীবাবুর বাসাতে অপু উঠিয়া আসিবার পর সে কখনও আসে নাই। খানিকটা ইতস্তত: করিয়া বাসায় ঢুকিল। এক-পা ধূলা, রুক্ষ চুল, হাতে পুটুলি। সে কোন সুবিধা খুজিতে আসে নাই, এদিকে আসিলে অপুর সঙ্গে দেখা না করিয়া সে যাইতে পারে না। পটুর মুখে অনেক দিন পর সে রাণুদির খবর পাইল । পাড়াগায়ের নিঃসহায় নিরুপায় ছেলেদের অভ্যাসমত সে গ্রামের যত মেয়েদের শ্বশুরবাড়ি ঘুরিয়া বেড়ানো শুরু করিয়াছে। বাপের বাড়ির লোক, অনেকের হয়ত বা খেলার সঙ্গী, মেয়েরা আগ্রহ করিয়া রাখে, ছাড়িয়া দিতে চাহে না, যে কয়টা দিন থাকে খাওয়া সম্বন্ধে নির্তাবনা । কোন স্থানে দু'দিন, কোথাও পাচদিন—মেয়েরা আবার আসিতে বলে, যাবার সময় খাবার তৈয়ারী করিয়া সঙ্গে দেয়। এ এক ব্যবসা পটু ধরিয়াছে মন নয়—ইহার মধ্যে সে তাহাদের পাড়ার সব মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে দু-চার বার ঘুরিয়া আসিয়াছে। এইভাবেই একদিন রাণুদির শ্বশুরবাড়ি সে গিয়াছে—সে গল্প করিল। রাণুদির শ্বশুরবাড়ি রাণাঘাটের কাছে—তাহারা পশ্চিমে কোথায় চাকুরী উপলক্ষে থাকেন—পূজার সময় বাড়ি আসিয়াছিলেন, সপ্তমী পূজার দিন অনাহুতভাবে পটু গিয়া হাজির। সেখানে আট দিন ছিল। রাপুরি যত্ন কি ! তাহার দুরবস্থা শুনিয়া গোপনে তিনটা টাকা দিয়াছিল, আসিবার সময় নতুন ধুতি চায়, এক পুটুলি বালি লুচি সন্দেশ। অপু বলিল-আমার কথা কিছু বলুলে না ? —শুধুই তোর কথা। যে কয়দিন ছিলাম, সকালে সন্ধ্যাতে তোর কথা। তারা আবার