পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অপরাজিত ويجنا অপু চেষ্টা করিয়াও পড়াশুনায় শৃঙ্খলা আনিতে পারিল না। লাইব্রেরীধরের ছাদ পর্ষপ্ত উচু বড় বড় বইয়ে ভরা আলমারির দৃপ্ত তাহাকে দিশহারা করিয়া দেয়। সকল বই-ই খুলির দেখিতে সাধ যায়—Gases of the Atmosphere—স্তার উইলিয়াম র্যামজের! সে পড়িয়া Cyfir fr for oft" | Extinct Animals—$. ca. ল্যানকাস্টার, জানিবার তার ভয়ানক আগ্রহ! Worlds Around Us—প্রক্টর। উঃ, বইখানা না পড়িলে রাত্রে ঘুম হইবে না। প্রণব হাসিয়া বলে—দুর! ও কি পড়া ? তোমার তো পড়া নয়, পড়া পড়া খেলা— এত বড় লাইব্রেরী, এত বই। নক্ষত্রজগৎ হইতে শুরু করিয়া পৃথিবীর জীবজগৎ, উদ্ভিদজগৎ আয়ুবীক্ষণিক প্রাণিকুল, ইতিহাস—সব সংক্রান্ত বই। তাহার অধীর উৎসুক মন চায় এই বিশ্বের সব কথা জানিতে। বুঝিতে পারুক আর নাই পারুক—একবার বইগুলি খুলিয়৷ দেখিতেও সাধ যায়! লুপ্ত প্রাণীকুল সম্বন্ধে খানকতক ভাল বই পড়িল—অলিভার লজের Pioneers of Science—বড় বড় নীহারিকাদের ফটাে দেখিয়া মুগ্ধ হইল। নীটুশে ভাল বুঝিতে না পরিলেও দু-তিনখানা বই পড়িল। টুর্গেনেভ একেবারে শেষ করিয়া ফেলিল, বারোখানা না ষোলখানা বই। চোখের সামনে টুর্গেনেভ এক নতুন জগৎ খুলিয়া দিয়া গেল— কি অপূর্ব হাসি-অশ্রমাখানো করলোক ! প্ৰণবের কাছেই সে সন্ধান পাইল, শুশমবাজারে এক বড়লোকের বাড়ি দরিদ্র ছাত্রদের থাইতে দেওয়া হয়। প্ৰণবের পরামর্শে সে ঠিকানা খুজিয়া সেখানে গেল। এ পর্যন্ত কখনও কিছু সে চায় নাই, কাহারও কাছে চাহিতে পারে না ; আত্মমর্যাদাবোধের জন্ত নহে, লাজুকতা ও আনাড়ীপনার জন্ত । এতদিন সে-সবের দরকারও হয় নাই, কিন্তু আর যে চলে না ! খুব বড়লোকের বাড়ি ; দারোয়ান বলিল—কি চাই ? অপু বলিল, এখানে গরীব ছেলেদের খেতে দেয়, তাই জানতে—কাকে বলবো জানো ? দারোয়ান তাহাকে পাশের দিকে একটা ছোট ঘরে লইয়া গেল। ইলেক্‌টিক পাখীর তলায় একজন মোটাসোটা ভদ্রলোক বসিয়া বসিয়া কি লিখিতেছিলেন। মুখ তুলিয়া বলিলেন—এখানে কি দরকার আপনার ? অপু সাহস সঞ্চয় করিয়া বলিল—এখানে কি পুওর স্টুডেন্টদের খেতে দেওয়া হয় ? তাই श्रांभि —আপনি দরখাস্ত করেছিলেন ? কিসের দরখাস্ত অপু জানে না। 象 —জুন মাসে দরখাস্ত করতে হয়, আমাদের নাম্বার লিমিটেড কিনা, এখন আর খালি নেই। আবার আসছে বছর—তাছাড়া, আমরা ভাবছি ওটা উঠিয়ে দেবে, এস্টেট রিসিভারের शं८ख वांद्दव्ह, e-जद खांब प्रविtष हरव नां । ফিরিবার সময় গেটের বাহিরে জাসিয়া জপুর মনে বড় কষ্ট হইল। কখনও সে কাহারও