পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ বিভূতি-রচনাবলী প্রতুল বলিল—ভারী একদিনের পার্সেন্টেজ। তা আমি ক্লাসে নাম প্রেজেন্ট করেও পালিয়ে আসতে পারি—সে তো আর তুমি পারবে না ? অপু বলিল—খুব পারি। পারবো না কেন ? প্রতুল বলিল—সে ডোম,র কাজ নয়, সি. সি. বি-র চোখে ভারী ইয়ে—আমরা বলে তাই এক একদিন সরষেফুল দেখি, তা তুমি! পারে পালিয়ে আসতে ? —এথ খুনি। দ্যাথো সবাই দাড়িয়ে-পারি কি না পারি, কিন্তু যদি পারি খাওয়াতে হবে ব’লে দিলাম— অপু উৎসাহে সিড়ি ভাঙিয়া উপরে উঠিয়া গেল। গজেন বলিল—কেন ওকে আবার ওসব শেখাচ্ছিস্ ? —শেখাচ্ছি মানে ? ভাজা মাছখানা উন্টে খেতে জানে ন-ভারী সাধু! মুরারী বলিল—ন, না, তোমরা জানো না, অপূর্ব ভারী pure spirit ! সেদিন—হঁ্যা হ্যা, জানি, ও-রকম মুনীর চেহার থাকলে আমাদেরও কত সার্টিফিকেট আসতে —বাবা, বঙ্কিমবাবু কি আর সাধে সুন্দর মুখের গুণ গেয়ে গেছেন ? —কি বাজে বকৃছিল প্রতুল ? দিন দিন ভারী ইতর হয়ে উঠছিল কিন্তু— প্রিন্সিপ্যালের গাড়ি কলেজের সামনে আসিয়া লাগাতে যে যেদিকে সুবিধা পাইল সরিয়া পড়িল । মিঃ বসুর ক্লাসে নামটা প্রেজেন্ট করিয়াই আজ অপু পলাইবার পথ খুজিতে লাগিল। বা দিকের দরজাটা একদম খোলা, প্রোফেসারের চোখ অন্যদিকে। সুযোগ খুজিতে খুজিতে প্রোফেসারের চোখ আবার তাহার দিকে পড়িল, কাজেই খানিকক্ষণ ভালমামুষের মত নিরীহমুখে বসিয়া থাকিতে বাধ্য হইল। এইবার একবার অন্ত দিকেই চোখ পড়িলেই হয় ! হঠাৎ C&;ft¥*ifa vf&fœè &* <fV*R,—Was Marius justified in his action ? সর্বনাশ ! মেরিয়াস কে ! একদিনও সে যে রোমের ইতিহাসের লেকচার শোনে নাই ! উত্তর না পাইয়া প্রোফেলার অন্ত একটা প্রশ্ন করিলেন—What do you think of Sulla’s— অপু বিপন্নমুখে কড়িকাঠের দিকে চোখ তুলিয়া দাড়াইয়া রহিল। রাস্কেল মণিলালটা মুখে কাপড় গুজিয়া খিলখিল করিয়া হাসিতেছে! প্রোফেলার বিরক্ত হইয়া অন্যদিকে মুখ ফিরাইলেন। -You, You there—you behind the pillar— এবার মণিলালের পালা। সে থামের আড়ালে সরিয়া বসিবার বৃথা চেষ্টা হইতে বিরত হইয়া উঠিরা দাড়াইল। দেখা গেল মুল্লা বা মেরিয়াসের সম্বন্ধে অপুর সহিত তাহার মতের কোন পার্থক্য নাই, সমানই নিধিকার। মণিলালের দুর্গতিতে অপু খুব খুনী হইয়া পাশের ছেলেকে আঙুলের খোচা দিয়া সিসি করিয়া বলিল—Rightly served! ভারী হাসি इङ्णि