পাতা:বিভূতি রচনাবলী (নবম খণ্ড).djvu/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরামানিক জ্বলে v·ვტ রেখে এসেছে। শুধু ক্যামেরা আর রিভলভার হাতে বেরিয়ে গেল । জামাতুল্লা গোপনে বললে—আমি কোন ছুতোয় এর পরে খাব ৷ একসঙ্গে সকলে গেলে চালাক ইয়ার হোসেন সন্দেহ করবে। আজ কাজ শেষ করতে হবে মনে থাকে যেন, হয় এস্পার নয় তো ওস্পার। আর সময় পাব না। সনৎ বললে—মনে থাকে যেন এ-কথা । আজ আর ফিরব না শেষ না দেখে । স্বশীলের বুকের মধ্যে যেন কেমন করে উঠল সনতের কথায়। সনতের মুখের দিকে ও চাইলে । কেন সনৎ হঠাৎ এ কথা বললে ? আবার সেই অন্ধকার সিড়ি বেয়ে রহস্তময় গহবরে স্বশীল ও সনৎ এসে দাড়াল। আসবার সময় সিড়ির প্রথম ধাপ থেকে ওরা গতি ও টর্চ নিয়ে এসেছে। পাথরের নর্তকী মূৰ্ত্তি দেওয়ালের গায়ে এক জায়গায় কাত করে রাখা হয়েছে। যেন জীবন্ত পরী দেওয়ালে ঠেস দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে মনে হয়। স্বশীল সেদিকে চেয়ে বললে—আর কিছু না পাই, এই পুতুলটা নিয়ে যাব। সব খরচ উঠে এসেও অনেক টাকা থাকবে—শুধু ওটা বিক্ৰী করলে ৷ তারপর দু-জনে নিচের পাথরের চৌবাচ্চাটাতে নামল । সনৎ বললে—উত্তর কোণের গায়ে চিহ্নটা দেখতে পাচ্ছ দাদা ! —এখন কিছু কোরো না, জামাতুল্লাকে আসতে দাও । সনৎ ছেলেমানুষ, সে সত্যিই অবাক হয়ে গিয়েছিল। বাংলা-দেশের পাড়াগায়ে জন্মগ্রহণ করে একদিন যে জীবনে এমন একটা রহস্তসঙ্কুল পথযাত্রায় বেরিয়ে পড়বে, কবে সে এ কথা ভেবেছিল ? স্বশীল কিন্তু বসে বসে অন্য কথা ভাবছিল । গত রাত্রের স্বপ্নের কথা তার স্পষ্ট মনে নেই, আবছাভাবে যতটুকু মনে আছে, সে যেন গত রাত্রে এক অদ্ভূত রহস্যপুরীর পথে পথে কার সঙ্গে অনির্দেশ যাত্রায় বার হয়েছিল, কত কথা যেন সে বলেছিল, সব কথা মনে হয় না। তবুও যেন কি এক অমঙ্গলের বার্তা সে জানিয়ে দিয়ে গিয়েছে, কী সে বার্তা, কার সে অমঙ্গল কিছুই স্পষ্ট মনে নেই— অথচ সুশীলের মন ভার-ভার, আর যেন তার উৎসাহ নেই। এ কাজে ফিরবার পথও তো নেই। ওপরের ঘর থেকে জামাতুঙ্গা উকি মেরে বললে—সব ঠিক। —এসেছ ? —ই বাবুজি। অনেকটা দড়ি এনেছি লুকিয়ে— —নেমে পড় । —আপনার ক্যামেরা এনেছেন ? —কেন বল তো ? —ইয়ার হোসেনকে ফাকি দিতে হলে ক্যামেরাতে ফটো তুলে নিয়ে যেতে হবে-- –भव छैक श्राप्छ ।