পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীসের ও রোমের যব ও গমের ক্ষেতের ধারে ওলিভ বচ্চন্দ্রীক্ষার ঝোপের ছায়ার ছায়ায় যে 8नननिन बौ१न शंखांद्र शंछांब्र वझ्द्र १८ब्र नकांण-नका यांत्रिउ श्८ब्रtछ्-ङां८णद्र २१ ५:१, আশা নিরাশার গল্প তাদের বুকের স্পন্দনের ইতিহাস আমি জানতে চাই। হোমার ভাজিলের কবিতা প্রতিদ্বন্ধী হয়ে উঠত কিনা এদের তুচ্ছ কথায় আমি জানি না, কিন্তু উত্তরপুরুষদের কৌতুহল, স্নেহ ও সম্বনের অধিকারী হ'ত তারা একথা ঠিক। "কেবল মাঝে মাঝে এখানে ওখানে ঐতিহাসিকদের পাতায় সম্মিলিত সৈন্তব্যুহের ফাকে সরে যায়, সারি বাধা বর্শার অরণ্যের ভিতর দিয়ে দূরের এক ভদ্র গৃহস্থের ছোট বাড়ী নজরে আসে, অজ্ঞাও কোন লেখকের জীবন কথা, কি কালের ম্রোতে কুল-লাগা এক টুকরা পত্র, প্রাচীন ইজিপ্টের কোন কৃষক শস্ত কাটবার জন্য তার পুঞ্জকে কি আয়োজন করবার কথা বলেছিল—বহু হাজার বছর পর তাদের টুকরো ভাঙ্গ ফাট মাটির তলায় চাপাপড়া মৃন্ময় পাত্রের মত পুরাতত্ত্বের কৌতুহলী পাঠকের চোখে পড়ে।” এই 'বুকের স্পন্দনের ইতিহাস’ “আরণ্যক"-এর বস্তু। ইহা বিভূতিভূষণের সাহিত্য দৃষ্টিতে উপন্যাস-বস্তু। এইচ. জি. ওয়েলস, গর্কি, ব্রেট হার্ট, রবীন্দ্রনাথের নানা রচনায় তিনি এই ‘বুকের স্পন্দনের ইতিহাস পাইয়াছেন। কিন্তু তাহার কথা হইল এই যে ‘আরও স্বল্প আরও তুচ্ছ জিনিসের ইতিহাস চাই ; আজকার তুচ্ছত হাজার বছর পরের মহাসম্পদ। মানুষ মানুষের বুকের কথা শুনতে চায়। এই সব তুচ্ছ কথা, মানুষের হৃদয়ের সংবাদ লইয়াই ‘মানুষের মনের ইতিহাস, তার প্রাণের ইতিহাস। এ ইতিহাসকে বিভূতিভূষণ এক মহাউপন্যাসৰূপে কল্পনা করিয়াছেন : ‘এই যুগ যুগ ব্যাপী বিশাল মানবজাতি—শুধু তাও নয়—এই বিশাল জীবজগৎ—কোন মহাওঁপন্থাসিকের কলমের আগায় বেকনো উপন্যাস। অধ্যায়ে অধ্যায়ে ভাগ করা আছে। মহাসমুদ্রগর্ভে বিলীন কোন বিশ্বত যুগের আটলাণ্টিক জাতির বিস্বত কাহিনীও যেমন এর কোন অধ্যায়ের বিষয়ীভূত ঘটনা তেমনি আজ মাঠের ধারে বন্য শৃগালের নখদন্তে নিহত নিরীহ ছাগ-শিশুর মৃত্যুতে যে বিরোগান্ত ঘটনার পরিসমাপ্তি হল তাও এর এক অধ্যায়ের কথা। ঐ যে কচুঝাড বাশবনের আওতায় শীর্ণ হয়ে হলদে হয়ে আসছে। ওর কথাও।' (স্থতির রেখা, বিভূতি-রচনাবলী, ১৩৯৪-৯৫ )। স্মৃত্তির রেখা গ্রন্থের এই অংশ ১৯২৭ এর ৩০শে নভেম্বর লিখিত। অতএব পথের পাঁচালীর লেখকের উপন্যাসতত্ত্বকে এই কথাগুলির মধ্যেই খুজিতে হইবে। এই তত্ত্ব উনি পাকা সমালোচকের ভাষায় উপস্থিত করেন নাই। কিন্তু তাহার বক্তব্যে এই ক্ষেত্রে অস্পষ্টত নাই। সেই বক্তব্য এই যে "তুচ্ছ জিনিসের ইতিহাস’ প্রাণের ইতিহাস হইয়া উঠিতে পারে এবং সেই ইতিহাস উপন্যাসের সামগ্ৰী। পৃথিবীর উপন্যাস-চিন্তার ইতিহাসে ইহা এক নূতন কথা। উপন্যাস সম্বন্ধে এখন আর একটি নূতন কথা বলিয়াছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংরাজ ঔপন্যাসিক Henry Fielding। তিনিই প্রথম উপন্যাসকে আধুনিক সাহিত্যের এপিক বলিয়া চিহ্নিত করেন এবং উহার উপন্যাসকে Comic opic in prose বলিয়া বিশেষিত করেন। সমালোচকের ইতিহাসে এই কথাটি এক যুগান্তকারী কথা। সাহিত্যের বিভিন্নরূপ