পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের বসতির পাশে কোথাও নিবিড় অরণ্য নাই । অরণ্য আছে দূর দেশে, যেখানে পতিতপঙ্ক জম্বুফলের গন্ধে গোদাবরী-তীরের বাতাস ভারাক্রান্ত হইয়া উঠে । “আরণ্যক’ সেই কল্পনালোকের বিবরণ । ইহা ভ্রমণ বৃত্তান্ত বা ডায়েরী নহে—উপন্যাস । অভিধানে লেখে ‘উপন্যাস" মানে বানানো গল্প । অভিধানকণর পণ্ডিতদের কথা আমরা মানিয়া লইতে বাধ্য । তবে ‘আরণ্যক’-এর পটভূমি সম্পূর্ণ কাল্পনিক নয়। কুশী নদীর অপর পারে এরূপ দিগন্ত-বিস্তীর্ণ অরণ্যপ্রান্তর পূর্বে ছিল, এখনও আছে। দক্ষিণ ভাগলপুর ও গয়া জেলার বন পাহাড় তো বিখ্যাত।