পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিভূতি-রচনাবলী وقاه جن মশায় এ গায়ের মোড়ল । সে যখন ভরসা দিয়েচে, তখন আর ভয় করি নে— —ত তো বুঝলাম, কিন্তু তোমার যে মন টেকে না কোথাও বেশিদিন । —হাতে পয়সা এলেই মন টিকবে। তা ছাড়া দিব্যি নদী— —আমার কিন্তু ইচ্ছে করে একবার ভাতছালা দেখতে । —ত একবার গেলেই হয়। গরুর গাড়ীতে একদিনের রাস্তা। বিশ্বেস মশায়ের কাছে বললেই গরুর গাড়ী দিতে পারে। অনঙ্গ আগ্রহের সঙ্গে বললে—হঁ্যা গা তা বলে না । বলবে একবার বিশ্বেস মশারকে ? গঙ্গাচরণ হেসে বললে—কেন ? ভাতছালা যাবার খুব ইচ্ছে ? -─ས་ཝཱ་མང་བྱོས་ཤོ། ། —তুমি তাহোলে পটল আর খোকাকে নিয়ে ঘুরে এসো একদিন । —কেন তুমি ? —আমার পাঠশালার ছুটি কই ? আচ্ছা দেখি চেষ্টা করে। —কতকাল যাই নি ভাতছালা। চার বছর কি পাঁচ বছর । ভাতছালার বিনি নাপতিনীকে মনে আছে ? আহা, কি ভালই বাসতো। আবার দেখা হোলে সেও কত খুশী হয়! সেই আমবাগানের ধারে আমাদের ঘরখানা –আচ্ছা কত জায়গায় ঘর বাধলে বলে তো ? গল্পগুজবে শীতের বেলা পড়ে এল। গঙ্গাচরণ উঠে বললে—যাই । একবার পাশের গায়ে যাবো। পাঠশালার জন্তে আরও ছাত্র যোগাড় করে আনি । ছাত্র যত বেশি হবে ততই সুবিধে । —একটু কিছু জল খেয়ে যাও— গঙ্গাচরণ আহলাদে হেসে বললে-অভ্যেস খারাপ করে দিও না বলচি । এ সময় জলখাবার থেয়েচি কবে ? অনঙ্গ হাসিমুখে বললে—ম-লক্ষ্মী যখন জুটিয়ে দিয়েচেন, তখন খাও। দাড়াও আমি আনি— একটা পাথরের বাটিতে কয়েক টুকরো পেঁপে কাটা ও আখের টিকৃলি এবং অন্ত একটা কাসার বাটিতে খানিকটা সর নিয়ে অনঙ্গ-বেী স্বামীর সামনে রাখলে । গঙ্গাচরণ খেতে খেতে বললে—আচ্ছা, একটা কাজ করলে হয় না ? -कि ? —আচ্ছ, একটু চায়ের ব্যবস্থা করলে হয় না ? অনঙ্গ ঠোঁট উন্টে বললে—ও ! তোমার যদি হোল তো সব চাই । চা ! —কেন ? —ওসব বড়মানুষে খায়। গরীবের ঘরে কি পোষায় ? গঙ্গাচরণ হেসে বললে—আসলে তুমি চা তৈরী করতে জান না তাই বলে ! অনঙ্গ মুখভঙ্গি করে বললে—আহা-হা ! —পারে চা করতে ? কোথায় করলে তুমি ?